Wednesday, 23 July 2014

নীড়

জমিয়ে ছিলাম জানি
খরকূটো জামদানি
এবাড়ি ওবাড়ি হয়ে
বাতাসের পিঠ বেয়ে
কখনও জীর্ণ শাখে
তৃণ বেঁধেছি পাখে

সঞ্চয় হলে সারা
খুশীতে পাগলপারা
কিছু শুকনো ঘাস
ঘর বাঁধার রাশ
কায়দা নিচ্ছি চিনে
কিকরে সব বোনে

পারিনি অতশত
বাবুই পাখির মত
তবু নিয়েছি গড়ে
নিজের মতন করে
যখন একটু বাকি
দেখি কালবৈশাখী

ঝড়ের দাপটে লুটি
কুড়েঘর কুটিকুটি
ভালোই হল বটে
যোগ্য নই মোটে
জমিহীন জমিদারি
বিষম বলিহারি

আজও চোখে পড়ে
কিছু চিহ্ন আছে পড়ে
ঘর কি সবার সয়
আমার কম্ম নয়
সেই যে পাখির ঘর
অগোছালো অতঃপর...

Friday, 18 July 2014

Saturday, 5 July 2014

সমাজবাজার

আর কত বিক্রি হবে নারী তোমার সত্তা 
তোমার দাম ওজনদরে চলছে বিক্রি-বাট্টা  

কেনা বেচা চলছে রোজ বিকৃত সমাজে 
বাপ তোমায় খাচ্ছে বেচে বহুবিবাহের লাজে 

সন্তানাদি পোকামাকড় হাজার কুড়ি গন্ডা 
ঢাকতে অভাব বেচছে বাপ নিচ্ছে দালাল গুন্ডা

দেশের নাকি অর্থনীতি দুর্বলতায় কাঁদে
রপ্তানি তাই ত নারী কানাগলির ফাঁদে

ভাগাড়ের দালাল সব দিচ্ছে মাকে ভোগে
নেতামন্ত্রী নীরব অতি 'ধৃত-রাষ্ট্র' রোগে

বৈদ্যুতিন মনোরঞ্জন দেশের ঘরে ঘরে
নিষিদ্ধ রঙিন বাতাস নিচ্ছে শ্বাস জোরে

সস্তা পন্য নারী মাংস মধ্যযুগের থাবা
সর্বত্র সহজলভ্য পথের পাশে ধাবা

বাতাস ঝড়ো ভয়াবহ বিষাক্ত তার কালি
বুদ্ধিজীবি হিজড়েরা সব মারছে হাতে তালি

তীব্র বেগে ছুটছে সমাজ লক্ষ্য রসাতল
পুরো সমাজ করবে গ্রাস পাপের রোষানল

এভাবেই চললে দিন রইবে না দূর বাকি 
কাদায় পড়ে গোটা সমাজ করবে মাখামাখি

যেটুকু আড়াল আজো রক্ষাকবচ তার
একবার হারায় যদি সব একাক্কার

অন্ধ সেজে সুখী সব শিক্ষিত সমাজ
গা বাঁচিয়ে থাকছ কাল পড়বে মাথায় বাজ

লোভটা এবার একটু কমাও থাকবে তবু সুখে
মা-বোনের রক্ত আর কত মাখবে চোখে মুখে!!?

মন্ত্রী-সান্ত্রী সাধারণ লজ্জা কারো নাই
জিহ্বা লোল নিজের হাতে মাখছে মুখে ছাই

কৃত্রিমতার চাদর পেতে সাজায় কালো বাজার
গুদামে পচছে চাল বাইরে গরীব হাজার

লংকা গেলে সবাই রাবণ পেশায় মাতব্বর
মনুষ্যত্বের গালে রোজ কষাচ্ছে থাপ্পর

লোভ তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মুখে পড়ে না ছাপ
রক্ত যাদের শিরায় শিরায় হাইপ্রোফাইল পাপ

দেশের সুদিন আনবে কারা কল্পনার অতীত
কাদের তৈরী ভ্রষ্টাচারে কল্পনারা পতিত!

সন্ধ্যা নামলে সীমান্তে বিকিকিনি শুরু
একটি নারী ওদিকে যায় এদিকে দশটি গরু!