Thursday 20 June 2019

বিশ্ব সঙ্গীত দিবস ও রবীন্দ্রসঙ্গীত

বিশ্ব সঙ্গীত দিবস!
যত্তোসব!
সব প্রহসন। অন্ততঃ বাঙালীদের মুখে এটা মানায় না।

আধুনিক যন্ত্রানুষঙ্গ এবং তা কেবলমাত্র শ্রুতিমাধূর্য্য বাড়ানো ও একটু বৈচিত্র্য আনার জন্যে করা যেতেই পারে, কিন্তু, Experiment বা পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে রবীন্দ্রসঙ্গীতের আত্মা ও লালিত্যকে নষ্ট করে দেবার যে অপপ্রয়াস তা কিছুতেই সহ্য করা যায় না। এবং এটা কোন ভুল নয়, বরং এক গর্হিত অপরাধ। এক ঘৃণ্য পাপ যা প্রায়শ্চিত্ত বা ক্ষমার অযোগ্য। তৎসঙ্গে আরেকটা কথাও অবশ্যই জানা বোঝা উচিত যে সত্যিই যদি মানুষ আসল বাংলা সঙ্গীত কে বুঝতে চায় তাকে সর্বাগ্রে রবীন্দ্রসঙ্গীত কে জানতে হবে। আর সেটা  অন্য ভাষা ও বিকৃত এক্সপেরিমেন্টের আধুনিক কেরদানি তে নয়, বরং নিখুঁত নিখাদ বাংলায় ও সেই  মূল স্বরলিপির শুদ্ধতার গভীরতায় ঠিক সেভাবে তাকে স্রষ্টা সৃষ্টি করে গেছেন।

শেষে এটুকুই বলব...


ছিনিমিনি খেলছ সবাই
এবার একটু থামো!
রিমিক্সের দাবানলে
কবি রবির গান ও?

আর কত বেচবে তোমরা
বাঙালীর ঐতিহ্য
বিকৃতির রঙ তামাশা
হচ্ছে না আর সহ্য

পয়সাকড়ি দুটোর লোভে
সংস্কৃতি বিপন্ন
মন-মাথা-মর্য্যাদা আর
রবিঠাকুরও পণ্য?

এই কি তোমরা বাঙালী
না আসলে বজ্জাত
কৃষ্টি নিজের পুড়িয়ে দিয়ে
সেঁকছ তাতে হাত!

কাকে তোমরা করছ খুশী
কিসের তরে বল?
স্বকীয়তা করছ মাটি
রুচিবোধটাও জলো

অন্ধমোহে নিজের হাতে
বাংলার সম্ভার
তছনছ করছ রোজ
লজ্জা নাই তোমার?

আসল ভুলে বাছছ কেবল
নকল মেকী রাস্তা
নিজে নিলাম হয়েছ আগেই
এবার রবির কর ও সস্তা!

এমনি যদি চলতে থাক
জেনো পস্তাবে একদিন
কুলাঙ্গারের হাত ধরে
বাড়ছে জাতির ঋণ

সোনার হাতে পিতল কাঁকণ
কোন সাহসে পরাও
কোন সে লোভে অনায়াসে
আপন সত্ত্বা পোড়াও?

"কেনকি" বলছ কথা
বর্ণমালা ভুলে
জাতিটিই বাজারজাত
হচ্ছে তুলে মূলে

আধুনিকতার আগ্রাসনে
রবীন্দ্রসঙ্গীত
করলে তাকেও জর্জরিত
কোথায় যে সংবিৎ!

অসামান্য বাঙালীধন
স্বর্গীয় রবিগান
নির্লজ্জ ব্যবসাদারীতে
হচ্ছে আজি ম্লান

টুকরো হয়ে যাচ্ছে সব
বঙ্গ-অলংকার
উশৃঙ্খল বাঙালীদের
আজ এটাই  অহংকার

বিশ্বকবির তারা নাকি
করবে বিশ্বায়ন
চিরন্তন রবিগানের
অচেনা গায়ন

মূলস্রোতে ভেজালের বিষ
কেমনতর সৃষ্টি
দেখেও দেখছে না আর
অন্ধ-বঙ্গ-গোষ্ঠী

সবাই দেয় তালে তাল
শিল্পীরা তাবড়
নিজের ঘরে রবীন্দ্রনাথ আজ
নিজেই যাযাবর।

No comments:

Post a Comment