Thursday 20 June 2019

NO SHOW OFF PLEASE!

Valentines day, Rose day, Friendship day, Marriage day, Mother's day, Father's day.......Ufffff!!!

Tired of all these Cheap, so called in fashioned fake celebrations(!)  If there is mutual respect & understanding no such specific or special occasion is required to rejuvenate our relationships.

No matter what happens...but...if you are in a relationship....still you are continuing, you must have respect, real care and little bit time to spare with your own people, each & everyday...no matter how much you are busy and what kind of relationship it may be. You really mean to be in...then you must fulfill your responsibilities. Any kind of personal relationship seeks nothing but true care & hearty attention. Reality never requires show off, expensive gifts or formal wish making. Without the presence of the deapth of feelings the bundle of all those fake formalities goes in vain.

If you can't give a smile in the morning & can't spare two minutes at night to observe the faces of your own people who waited for you all day long, then you are not in. Really! I mean it. And if it's simply a routine to continue then make a break up. Harsh reality is less painful then fake formalities.

A child must be selfless while he or she is making any decision of own life, that their progress never becomes the lifelong sorrow of their parents.

A life partner never need to gift a diamond ring or a bunch of red roses their spouse to show their feelings. Just give few minutes..hear and share few words or moments...peacefully. These moments would be much more precious then any expensive gift of the world.

Friends take your friendship as a responsibility....neither as a chance or timepass...everyday will be a friendship day!

No special day is needed to explore and express your inner feelings...just be honest with them rather. Be trustworthy. Be sensible. Be loving. Be real. Be soft-hearted. Be loyal. Be simple. Be understanding. Be a good and perect listener.

Just once you try these things. I am sure you won't face a nagging wife, a angry parent, a complaining friend or a sad or depressing atmosphere. Be really caring. Care is the Biggest Rose having every vibrant colours and special fragnance can win million hearts..of our special one's alteast....

No need to wish formaly...nor you need to show...Personal feelings seeks only attention...not exhibitions!

ONLY HONESTY & LOVE CAN MAKES THE WORLD BEAUTIFUL! ❤

বিশ্ব সঙ্গীত দিবস ও রবীন্দ্রসঙ্গীত

বিশ্ব সঙ্গীত দিবস!
যত্তোসব!
সব প্রহসন। অন্ততঃ বাঙালীদের মুখে এটা মানায় না।

আধুনিক যন্ত্রানুষঙ্গ এবং তা কেবলমাত্র শ্রুতিমাধূর্য্য বাড়ানো ও একটু বৈচিত্র্য আনার জন্যে করা যেতেই পারে, কিন্তু, Experiment বা পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে রবীন্দ্রসঙ্গীতের আত্মা ও লালিত্যকে নষ্ট করে দেবার যে অপপ্রয়াস তা কিছুতেই সহ্য করা যায় না। এবং এটা কোন ভুল নয়, বরং এক গর্হিত অপরাধ। এক ঘৃণ্য পাপ যা প্রায়শ্চিত্ত বা ক্ষমার অযোগ্য। তৎসঙ্গে আরেকটা কথাও অবশ্যই জানা বোঝা উচিত যে সত্যিই যদি মানুষ আসল বাংলা সঙ্গীত কে বুঝতে চায় তাকে সর্বাগ্রে রবীন্দ্রসঙ্গীত কে জানতে হবে। আর সেটা  অন্য ভাষা ও বিকৃত এক্সপেরিমেন্টের আধুনিক কেরদানি তে নয়, বরং নিখুঁত নিখাদ বাংলায় ও সেই  মূল স্বরলিপির শুদ্ধতার গভীরতায় ঠিক সেভাবে তাকে স্রষ্টা সৃষ্টি করে গেছেন।

শেষে এটুকুই বলব...


ছিনিমিনি খেলছ সবাই
এবার একটু থামো!
রিমিক্সের দাবানলে
কবি রবির গান ও?

আর কত বেচবে তোমরা
বাঙালীর ঐতিহ্য
বিকৃতির রঙ তামাশা
হচ্ছে না আর সহ্য

পয়সাকড়ি দুটোর লোভে
সংস্কৃতি বিপন্ন
মন-মাথা-মর্য্যাদা আর
রবিঠাকুরও পণ্য?

এই কি তোমরা বাঙালী
না আসলে বজ্জাত
কৃষ্টি নিজের পুড়িয়ে দিয়ে
সেঁকছ তাতে হাত!

কাকে তোমরা করছ খুশী
কিসের তরে বল?
স্বকীয়তা করছ মাটি
রুচিবোধটাও জলো

অন্ধমোহে নিজের হাতে
বাংলার সম্ভার
তছনছ করছ রোজ
লজ্জা নাই তোমার?

আসল ভুলে বাছছ কেবল
নকল মেকী রাস্তা
নিজে নিলাম হয়েছ আগেই
এবার রবির কর ও সস্তা!

এমনি যদি চলতে থাক
জেনো পস্তাবে একদিন
কুলাঙ্গারের হাত ধরে
বাড়ছে জাতির ঋণ

সোনার হাতে পিতল কাঁকণ
কোন সাহসে পরাও
কোন সে লোভে অনায়াসে
আপন সত্ত্বা পোড়াও?

"কেনকি" বলছ কথা
বর্ণমালা ভুলে
জাতিটিই বাজারজাত
হচ্ছে তুলে মূলে

আধুনিকতার আগ্রাসনে
রবীন্দ্রসঙ্গীত
করলে তাকেও জর্জরিত
কোথায় যে সংবিৎ!

অসামান্য বাঙালীধন
স্বর্গীয় রবিগান
নির্লজ্জ ব্যবসাদারীতে
হচ্ছে আজি ম্লান

টুকরো হয়ে যাচ্ছে সব
বঙ্গ-অলংকার
উশৃঙ্খল বাঙালীদের
আজ এটাই  অহংকার

বিশ্বকবির তারা নাকি
করবে বিশ্বায়ন
চিরন্তন রবিগানের
অচেনা গায়ন

মূলস্রোতে ভেজালের বিষ
কেমনতর সৃষ্টি
দেখেও দেখছে না আর
অন্ধ-বঙ্গ-গোষ্ঠী

সবাই দেয় তালে তাল
শিল্পীরা তাবড়
নিজের ঘরে রবীন্দ্রনাথ আজ
নিজেই যাযাবর।

Sunday 2 June 2019

তিন তালাক বিল, মোদী সরকার এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

  একটা কথা যেটা সবচেয়ে জরুরী সেটা হলো যে মোদীজী মুসলিম মেয়েদের তিন তালাক নামক ভয়ানক দূর্গতি বন্ধ করার যুদ্ধেে নেমেছেন।

  'হালালা'র দোহাই দিয়ে নিরীহ মেয়েদের একপ্রকার হালাল করার যে কদর্য্য রীতি সেই নরকযন্ত্রনা থেকে মুসলিম মা বোন মেয়েদের মুক্তি দিতে গিয়ে মোদীজীকে বারবার কখনও মুসলিম মৌলবাদীদের কখনও বিরোধী দলের প্রবল আক্রোশের মুখে পড়তে হচ্ছে। এটা কোন নারীবাদ বা ধর্মবাদের নিরিখে দেখবার বিষয়ই নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে মানবাধিকারের বিষয়। সব লিঙ্গের প্রতি সম ন্যায়(Gender Justice) নিশ্চিত করার বিষয়।

  এতদিন মুসলিম সমাজে স্বামীরা মৌখিকভাবে তিনবার 'তালাক' বলে দিলেই এমনকি চিঠি, SMS,  বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম যেমন হোয়াটস্অ্যাপ, ফেসবুক এর মাধ্যমেই তালাক দিয়ে দেওয়া যেত এবং মুসলিম সমাজের মৌলবীরা সেটাকে বৈধ বলেই  স্বীকৃতি দিয়ে আসছিলেন।

  শুধু এক মুহুর্তে বলা তিনটি শব্দে এদ্দিন যাবৎ মধ্যযুগীয় প্রথায় একটি মুসলিম নারীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যেত।

  যাই হোক, মোদীজীর প্রচেষ্টায় ২০১৭ এর ২২শে অগাস্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক বা 'Talaq-e-Biddat'(instant divorce অর্থাৎ তাৎক্ষণিক তালাক) কে বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে।

  আর ঠিক এখানেই দেশের তথাকথিত বিরোধী দলগুলো এবং মুসলমান সমাজের মুরূব্বিদের তীব্র বিরোধ শুরু হয়ে গেলো। সেই বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ না দিলেও একটা কথা বিশেষ উল্লেখযোগ্য তা হল, বিলটি পাস হয়ে যাবার আগমুহূর্তে পাকা ধানে মই দিতে বাদ সাধল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল' বোর্ড (All India Muslim Personal Law Board)।

  ভাগ্যের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! যেখানে মুসলিম মাতব্বরদের নিজেদের সমাজের মেয়েদের পক্ষে কল্যাণকর এই বিলের সমর্থন করার কথা তারা কিনা উল্টে এই তিন তালাক বিরোধী বিলটিকেই বলে বসলেন 'নারীবিরোধী'? এই কু-প্রথাটি মানবতা ও সংবিধান-বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা সেটাকে ইসলাম বিরোধী ও শরীয়া আইন বিরোধী বলে মোদীজীর এই শুভ প্রয়াসের প্রবল বিরোধ করতে থাকলেন।

  কিন্তু এ ব্যাপারে আইন প্রণয়নের ভার সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছেড়ে দেওয়া  হয়েছিল সরকারেরই ওপর।

এই প্রথাকে শাস্তিযোগ্য করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ২০১৭ এর ২৮শে ডিসেম্বর তারিখে  'দ্য মুসলিম উইমেন প্রোটেকশন অব রাইটস ইন ম্যারেজ অ্যাক্ট' নামে একটি বিলও আনে, যা সাধারণভাবে 'তিন তালাক বিল' নামেই পরিচিতি পায়।

  মোদীজীর সুস্থ ও দৃঢ়চেতা সংকল্পের ফলে বিলটি অবশেষে জোরদার সম্মতিক্রমে লোকসভায়পাশ হয়। কিন্তু, রাজ্যসভা তে বিলটি নিয়ে বিরোধী দলগুলোর বিরোধ চলতে থাকে। অবশেষে একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বিলটিকে বলবৎ করা হয়।

  এই বিল অনুযায়ী স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে স্ত্রী স্বয়ং বা উনার নিকট আত্মীয়রা সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি স্ত্রীকে খরপোশ দিতে বাধ্য হবেন এবং উক্ত ব্যক্তির শাস্তি হবে আর্থিক জরিমানা সহ তিন বছরের হাজতবাস।

  কিন্তু, লড়াইটা এখানেই শেষ নয় বরং আসল লড়াই এখনো বাকী।

  যে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা এই  বিলের বিরোধী তাদের মানসিকতাটা একবার খতিয়ে দেখার দরকার।
তাঁরা কেন এই প্রথার কুফলগুলোকে দেখেও না দেখার ভান করছেন এবং এটা নিয়ে মোদীজী রাজনৈতিক লাভ উঠাতে চান এই কদর্য্য মিথ্যাটাকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন?

  মোদীজী ত বারবার এমন ধরনের সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকেন যেসবের ফলে ভোট বাড়া নয় বরং কমার আশঙ্কাই বেশী থাকে, সে তিন তালাকের বিরোধই হোক বা নোটবন্দী।

  স্বাধীনতার পর থেকে  আজ অব্দী কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হয় নি নিজের গদীর ঝুঁকি নিয়ে এরকম দেশহিতকর বা জনকল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে।

  সবচেয়ে দূর্ভাগ্যের বিষয় হল এই বিলের বিরোধীতায় সবচেয়ে বেশী  সোচ্চার বিরোধী দলের বিশেষ করে করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রীরা।
সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে খোদ কংগ্রেসের মহিলা কমিটির অধ্যক্ষাও প্রকাশ্য সভায় এই ঘোষণা করেন যে তাঁরা ক্ষমতায় এলে তিন তালাক বিরোধী বিলকে নির্মূল করে দেবেন!!

https://khabar.ndtv.com/news/india/congress-on-triple-talaq-bill-sushmita-dev-rahul-gandhi-bjp-govt-1989929

  এই বিলের বিরোধীতা করা মহিলা নেত্রীদের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন, দেশকে ঠিক কোনদিকে নিয়ে যেতে চান আপনারা এবং কি করে নিজেরা মহিলা হয়েও মাত্র তিনটি শব্দে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের জীবনের খোলামকুচি হওয়াটাকে সমর্থন করতে পারেন যেখানে এই তিন তালাক শুধু তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদেরকেই নয় তাদেরকে সন্তানদের জীবন ও ভবিষ্যতকেও কু-প্রভাবগ্রস্ত করে তোলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই? আপনারা জননেত্রী। আপনাদের কথা মানুষ শোনে, বিশ্বাস করে। কোথায় আপনারা তাদেরকে সচেতন করে তুলবেন, তা না করে শুধু নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে তাদেরকে আরো অন্ধকারে নিক্ষেপ করছেন?

  এই বুঝি আপনাদের বিবেকবোধ, সংখ্যালঘুদের প্রতি দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসা???

  ৭২ বছরে কংগ্রেস ভারতে মুসলিম তোষণ করেছে ঠিকই, কিন্তু কোন মুসলিমদের? যারা অন্যায়, আতঙ্কবাদকে সমর্থন করে, অন্ধ ধর্মোন্মত্ততার বশে নিজের সমাজেরই গরীব ও মেয়েদেরকে শোষণ করে আর তারাই আবার মুসলিম সমাজের মাথা হয়ে সাধারণ সরল ধর্মভীরু মুসলিমদেরকে ভয় দেখিয়ে  নিজেদের স্বার্থ ও ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করে আসছে এতযুগ ধরে।

  আর সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তরাই সব সমাজের বৃহত্তম অংশ। তাদেরকে কখনও ভুল বুঝিয়ে কখনও ধমকে ধামকে কংগ্রেস বা ওই ধরনের সর্বনাশা সমাজ দেশ জাতিকে পিছিয়ে রাখা দলগুলিকেই ভোট দিতে এযাবৎ শিক্ষা দিয়ে এসেছে মুসলিম সমাজের তথাকথিত মুরুব্বিরা এবং সেই দলগুলো ক্ষমতায় এলে কাদের কতটুকু উন্নতি ও সুবিধা হয়েছে সেই  গোপন সত্যিটা যেমন সর্বজনবিদীত তেমনি সাধারণ মুসলিম সমাজের উন্নয়নের শকট যে এখনো প্রস্তরযুগেই দাঁড়িয়ে আছে তাতেও কোন সন্দেহ নেই।

  কংগ্রেস সহ ভারতের বাকী বিরোধী দলগুলো কি এই সাধারণ মুসলিম জনসাধারণের কথা সত্যিকার অর্থে আদৌ কখনো ভেবেছে? ভাবেনি। কেবলমাত্র ভোট ব্যঙ্ক হিসাবেই ব্যবহার করে গেছে।

  আজ মুসলিম মহিলারা মার খেয়েও মোদীজীকে ভোট দিয়েছেন। শুধু মুসলিমরা নন সাধারণ হিন্দুরাও নারীপুরুষ নির্বিশেষে বিরোধী দলের গুন্ডাদের হাতে নির্যাতিত হবার পরেও অনেক ক্ষেত্রে প্রাণসংশয় এর ভয়কে তুচ্ছ করেও বিজেপীকেই ভোট দিয়ে মোদীজীকে ফিরিয়ে এনেছেন। এটাই সত্যিকারের গণতন্ত্র। মানুষকে ভালবেসে মানুষের জন্যে তিনি কাজ করেছেন। মানুষ সেই ভালোবাসাই তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

"রাজা সবারে দেন মান...
সে মান আপনি ফিরে পান।"

  কারণ, মানুষ আজ বুঝতে শিখেছে এতো বছর তারা কি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল আর কি তাদের প্রাপ্য। মোদীজী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজে আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। যে সব কাজ করলে ভোট পাবার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে জেনেও দেশ ও মানুষের জন্যে নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে সেই কাজগুলোই করে যাচ্ছেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে আপামর জনসাধারণ উনার সেই সিদ্ধান্তগুলোকে একটু কষ্ট হলেও মেনে নিচ্ছে এবং তার সুফলও পেয়ে চলেছে।

  কিন্তু, একমাত্র যারা ক্ষমতালোভী ও স্বার্থপর তারাই চায় না দেশ এগোক। তারাই কখনো ধর্মের দোহাই দিয়ে কখনো আরও হাজার একটা মিথ্যা অছিলায় মোদী সরকারের নিরন্তর বিরোধীতা করে চলেছে। দেশের উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত কেউ কিন্তু সরকারবিরোধী নয়, কারণ তারা এই সরকার যে মঙ্গলকামী সেটা বুঝে গেছে।

  আর ঠিক সেজন্যেই বিরোধীদের ভয়। মানুষ তাদের স্বরূপটাকে চিনে ফেলায় তাদের পাপের রাজত্বের শেষ ঘনিয়ে এসেছে দেখে তারা মরিয়া হয়ে সরকারের সমস্ত সুস্থ সঠিক সিদ্ধান্ত ও কাজের বিরোধ ও ভুল বিশ্লেষণ করে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে শুধু এবং শুধু নিজেদের নিকৃষ্ট স্বার্থে।
সরকারের কাজে যদি ভুল কিছু থাকে তাহলে ভুল ধরিয়ে দেওয়া বিরোধী দলের অবশ্যই কর্তব্য। কিন্তু শুধু  বিরোধ করার জন্যে উন্মত্ত হয়ে বিরোধ করা তাতে দেশের বা মানুষের সর্বনাশ হলে হৌক শুধু আমার স্বার্থটা বাঁচলেই হল, এটা কোন মানসিকতার পরিচয়?
শুধু  নিজেরা সহ্য করতে পারছেন না বলে সাধারণ মানুষের মনেও সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা আর সন্দেহ ঢুকিয়ে বিপথগামী করতে চাইছেন?

  এবার লোকসভার প্রথম দফার ভোটে কোনও এক বিরোধী দলের সমর্থক ভোটার ভোট দিতে গিয়ে ভুল করে ই ভি এম এ বিজেপীর বোতাম টিপে দেয় এবং তাতে এত রাগ হয় নিজের প্রতি সে তৎক্ষণাৎ নিজের আঙ্গুল নিজেই কেটে ফেলে। কি আক্রোশ! এটাই ত অসহিষ্ণুতা! আর এই অন্ধ আক্রোশের বীজ কারা পুঁতে দিচ্ছে সহজে সরল জনসাধারণের মনে, কেবলি নিজের স্বার্থে? তাঁরা এমনভাবে সাধারণ মানুষদের মগজ ধোলাই করছেন যে তারা মোদী সরকারকে ঘৃণা করতে গিয়ে নিজের হাতে নিজের আঙ্গুল কাটতেও রাজী?

  যে ছেলেটা বালাকোটে সার্জিকেল স্ট্রাইকের পরে খুব খুশী হয়ে বলে যে, আজ পাকিস্তান ক্রিকেটে ভারতের কাছে হারলে যে আনন্দ হয় সেই আনন্দ হচ্ছে, সে ই কিনা রাত পেরোতে না পেরোতে মুখ কালো করে প্রশ্ন করে, "স্ট্রাইক ত হয়েছে বুঝলাম, কিন্তু, আতঙ্কবাদীদের লাশ কোথায়?"

   বিষাক্ত বুদ্ধির ক্যানসারের জীবাণু বিরোধী নেতা নেত্রীরা কি পরিকল্পিত সুকৌশলে মানুষের মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছেন যে আক্রান্তরা বুঝতেও পারছে না তারা আক্রান্ত হচ্ছে! বরং তারা ত নিজেদেরকে চোখ খোলা বুদ্ধিজীবী ভাবছে আর যাঁরা চোখ খোলাচ্ছেন, তাঁদেরকে ভগবান!

  তাঁদের অনেক সৌভাগ্য যে তাঁরা ভারতবর্ষের মত দেশের জননেতা বা নেত্রী। মানুষ তাঁদের কথায় প্রভাবিত হয় বলে সুযোগ নেবেন? সুযোগ অবশ্যই নিন কিন্তু সেটা মানুষের মঙ্গলার্থে, সত্যির উপর মিথ্যার পর্দা দিয়ে মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে নয়।
তাঁরা শুধু চেয়ারটা বাঁচাতে এতটাই উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছেন যে, এটা ভুলে যাচ্ছেন যে, চেয়ারটা যে ঘরটার আশ্রয়ে আছে সেই ঘরটাই যদি ভেঙ্গে যায় তবে চেয়ারটার অস্ত্বিত্বই থাকবে না।
এইটুকু দূরদৃষ্টিটা ত রাখুন অন্ততঃ।

  আমাদের দেশে এবার লোকসভা নির্বাচন শুরু হবার প্রাক্কালে TMC দলের প্রার্থী নুসরত কে ABP আনন্দ চ্যানেলের একটি সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়,  মোদীজী যে তিন তালাক এর বিরুদ্ধে আইন করেছেন সে সেটাকে সমর্থন করে কিনা।
এবং মেয়েটি বিরোধী দলের প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও এক কথায় উত্তর দিল, "সমর্থন করি"। আমার ভীষণ ভীষণ আনন্দ হচ্ছিল শুনে। সে মোদীজীকে সমর্থন করেছে বলে নয়, একজন মানুষ এবং মেয়ে হিসাবে ন্যায়কে সমর্থন করছিল বলে। এটাই ত সুস্থ রাজনীতি। তাই না?

  কিন্তু, এটা বলার পর থেকেই যেখান থেকে সে প্রার্থী  ছিল সেই  বসিরহাটের মৌলবাদীরা তাকে এই বলে ধমকাতে শুরু করল যে সে নিজে মুসলিম হয়ে ইসলামধর্মের অপমান করছে, সে যেন তার 'ভুল(!!)' সংশোধন করে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবং যেহেতু এই মৌলবাদীরা ও TMC নেত্রী একে অপরের পরিপূরক তাই তাদের মন রাখতে দিদি নুসরতকে হাতধরা অবস্থায় এক জনসভার মঞ্চ থেকে নিজেই নুসরতের হয়ে ঘোষণা করে দিলেন যে সে ভবিষ্যতে এই ধর্মীয় দিকগুলি খেয়াল রেখে চলবে।
সেই মুহূর্তে নূসরতের কি মনে হচ্ছিল আমি জানিনা। কিন্তু খুব দুঃখ হচ্ছিল এটা ভেবে যে মেয়েটার মধ্যেকার সততার আগুনের স্ফূলিঙ্গটা জ্বলে ওঠার আগেই নিভিয়ে দেওয়া হল। ওর মধ্যে  হয়তো বাংলার হাজারটা মুসলিম মেয়েকে আলোতে টেনে আনার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু আজ মানুষের উপর দল এটা বুঝতে শিখে নিয়ে নিজের বিবেকের সাথেই সমঝোতা করে নিল। (এই ঘটনাগুলোর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও উপলব্ধ।)

  ওর দল ত জনদরদী মুসলিমদরদী। তারা ত যে গরু দুধ দেয় তার লাথ খেতে ও রাজী। তাহলে মোদীজীর যে তিন তালাক বিরোধী পদক্ষেপ যেখানে মুসলিম মেয়েদের জন্যে আশীর্বাদস্বরূপ সেটারই কেন বিরোধীতা করে বসল? শুধুই মোদীজীর বিরোধ করতে হবে বলে? তা হলে তারা কি সত্যিই মুসলিমদরদী বা মানবদরদী অন্ততপক্ষে?

  এই কি গণতন্ত্র? এটাই কি  সুস্থ রাজনীতি?
মাথায় কাপড় দিয়ে কোরান পড়ে আর তলে তলে তাদেরই সর্বনাশ করছে যারা তারা কি না মোদীজীর দিকেই আঙ্গুল তোলে? যে মানুষটি একটিও মুসলিম ভোট ও না পেতে পারেন জেনেও  তিন তালাকের মত সামাজিক কু-প্রথা ও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন তিনি নাকি ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করছেন?

ছিঃ! লজ্জা লজ্জা !!

  ভোটের জন্যে দুষ্ট মুসলিম তোষণ অনেক হয়েছে। আমাদের দেশের মূলস্রোতের প্রকৃত যে মুসলিম সমাজ যারা আমাদের দেশের সম অধিকারের অংশীদার মোদী সরকার এবার তাদের জন্যে কাজ করছে।
যারা মোদীজীকে হিংসা করছে সেই ফণা ভেঙ্গে ছাতু হয়ে যাওয়া আধমরা সাপেরা এবং আরেকদল যাদের তালাকপ্রাপ্ত মেয়েদের উপর ধর্মের দোহাই দিয়ে লালসা চরিতার্থ করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখে গায়ে ফোস্কা পড়ছে একমাত্র তারাই বলবে মোদী মুসলিমবিরোধী এবং সাধারণ মানুষদের দিকভ্রান্ত ও করতে চাইবে।

  কিন্তু মুসলিমরাও বোকা নন। কোনটা নাটক আর কে প্রকৃত হিতৈষী তারা ঠিকই বোঝেন। যারা এখনো বোঝেন নি আগামীতে তারাও বুঝবেন। মোদীজীর কাজে পরিচয়।

  আর শুধু হিন্দু, মুসলিম দিয়ে নয়, মোদীজীর সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উন্নতিকল্পে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

  মোদীজীর মন্ত্রই হল 'সবকা সাথ- সবকা বিকাশ', সবাইকে নিয়ে সবার উন্নতি করাই যার একমাত্র লক্ষ্য।
আর সবকা সাথ সবকা বিকাশ করে চলেছেন বলেই সবার বিশ্বাস ও তিনি অর্জন করতে পেরেছেন।

  তাই তাঁর নূতন শ্লোগান
"সবকা সাথ- সবকা বিকাশ-সবকা বিশ্বাস"

  আর তাই ২৩শে মে মোদীজীর ঐতিহাসিক বিজয়ের পর ভারতবর্ষের মুসলিমরা আনন্দে মসজিদে মসজিদে ও বিভিন্ন জায়গায় একে অপরের মিষ্টিমুখ করান।

https://www-siasat-com.cdn.ampproject.org/v/s/www.siasat.com/news/muslims-celebrate-modis-victory-muslim-dominated-peeli-kothi-1500157/amp/?amp_js_v=a2&amp_gsa=1&usqp=mq331AQA&fbclid=IwAR3hC4TGjq2IIVA1C-i3WNlRrDaObJ8FAyHAYPmTeDUDzhiibsIwgf_NfB4#referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&amp_tf=From%20%251%24s&ampshare=https%3A%2F%2Fwww.siasat.com%2Fnews%2Fmuslims-celebrate-modis-victory-muslim-dominated-peeli-kothi-1500157%2F

  মোদীজীর ডাকে কালঘুম ভেঙ্গে এটা আমাদের নতুন ভারতবর্ষ।

রবীন্দ্রনাথ ও আমাদের।
নজরুল ও আমাদের।
শরৎচন্দ্র ও আমাদের
প্রেমচন্দ ও আমাদের।

  জাতিভেদের রাজনীতির দিন এবার শেষ।
ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ জাতি ধর্ম ভাষা নির্বিশেষে একে অপরের আত্মার আত্মীয়।
মোদীজী ভারতবর্ষের এই চিরন্তন অখণ্ডতাকে ধরেই এগোচ্ছেন। ভারতমাতার আশীর্বাদ তাই তাঁর উপরেই বর্ষিত হচ্ছে মানুষের মাধ্যমে।

  আমরা গর্বিত আমরা ভারতবাসী।
আমরা গর্বিত মোদীজী আমাদের প্রধানমন্ত্রী।
তাই সাধারণ মানুষ ভয়ে নয় ভালোবাসায়, দূর্মুখ নিন্দুকদের দেশদ্রোহীদের প্রলাপ বকা মুখে ছাই দিয়ে উনাকে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীরূপে ফিরিয়ে এনেছে।

  আমরা আশাবাদী উনার হাত ধরে সবার জন্যে সবকিছু ভালো হচ্ছে আর হবে।
"ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে"।

  আর যেতে যেতে একটাই অনুরোধ সকল মোদীবিরোধী দলের নেতৃত্বদের প্রতি, বিরোধের জন্যে বিরোধ অনেক ত হল। একবার না হয় নাকারাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে বেরিয়ে এসে আপনারাও সাকারাত্মক মনোভাব নিয়ে নুতন ভারত গড়ার যজ্ঞে সরকারের পাশে থাকুন। ভবিষ্যতে বরং এ নিয়ে গর্ববোধই করতে পারবেন। আর তা করতে যদি একান্তই অক্ষম হন তাহলে অন্ততঃ অশান্তিটা থামান। অযথা উৎপাতে আমরা সত্যিই ক্লান্ত। অনেক হয়েছে। এবার সাধারণ মানুষদেরকে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ফিরতে দিন। আর সরকারকে নিশ্চিতমনে দেশের কাজ করতে দিন।
নিজেরা শান্তিতে থাকুন। অন্যদেরও থাকতে দিন।

জয় হিন্দ
বন্দে মাতরম।
🇮🇳