দূর্গাপুজোর ছবি দেখিনা
তোর শহরের রাতের রোশনাই, প্যান্ডাল,
থিম, হাতের ছাপ
বা অষ্টমীর সকালের দূর্গাদালান
বুড়োবুড়িদের আড্ডা
তোর লেন্সে ধরা পড়া
নষ্টালজিয়া
আচ্ছা, কখনো খেয়াল করেছিস
নষ্টালজিয়ারা কখনও নষ্ট হয় না
জিইয়ে থাকে,
তাই না?
আজো কি তেমনি করে
রাতের আলোদের করিস মুঠোবন্দী
স্পট মিটারিংয়ে
বাড়তি আলোদের শাসন করে
আকাশের তারায় মন না থাক
মাটির আলোগুলোকে
বেশ ধরিস যখন
তখন তারাও ভাবে তাদেরকে তারা তারাই লাগে
বৃষ্টির পর ঈষৎ সবুজ
পিছল পথে
কাঁঠচাঁপাটা পড়েছিল
মনে পড়ে?
তোর ছবিগুলো কাব্য।
তা হয়ত সবার ছবিই কম বেশী।
তবে আমি কিনা শুধু
তোর সাথেই মিশি
পক্ষপাতিত্ব বলছিস?
তা হতে পারে
হতেই পারে
কে বলতে পারে
তুই একটা অজানা দ্বীপ
সমুদ্রের ঝড়ে পথ হারানো
রাতের নাবিক কাছে পৌঁছে গিয়েও
আবার পথ হারায়
আশ্বিনের ভোরে এখনো যাস
পাখীদের পাড়ায়?
একলা সবুজ পাখী
ইয়া লম্বা সবুজ ঘাসের ডগায়
ওই যে নতুন শীতের আগে
হালকা কুয়াশার চাদরে ফুটছে
একটা কুসুম রঙা গোলা
একটা ছায়ামানুষ যায়
তোর পায়ের নীচে
হীরে বসানো সবুজ গালিচা
তুই সেখানে সুখী একা
শান্তিময় শুভ্র নীরবতায়
কুমুরটুলিতে অসুরের রাগ
সিংহের দাঁত, মায়ের হাত
ছুঁয়ে আসিস আজো
আগের মতো?
যদি বলিস, "না", তবে বলব
তুই বুড়িয়ে গেছিস
অথচ তোর বয়স সাতাশ
হাজার বছর ধরে
নবমীর রাতে দশমহাবিদ্যার পুজো
মন্ত্রোচ্চারণ ধূপ ঘন্টা
আজো দেখিস
রাত জেগে?
না কি চলে যাস শহর থেকে
অনেক দূরে
ভীনদেশী রাজাদের ফটকে উঠোনে
ঝাড়বাতির তলে
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দোকান
মনের চোখে সেই
একই আজো
আমার চোখের দৃষ্টিতে ম্লান
আরেকবার ঠিক আগের মত
ঘুরে আয় মুখ দেখে
সপ্তমী তে যাবে দেখা যারে
ষষ্ঠীতে রাখে ঢেকে
একটা দুটৌ করে
হয়ত এখনো রাত পথে
আলোর ঘুড়ি আকাশে কমলা ফানুস
তোর চোখে ধরা পড়ে
সেবার দেখেছিলাম
তোর চোখে চোখ রেখে
নবমীতে যেন মায়ের
ডান গালে জলের রেখার দাগ
আর মায়ের মিষ্টিমুখ
বিদায় দেবার আগে
আচ্ছা ভালবাসার পূর্ণতা কি
বিসর্জনের ত্যাগে?
আর দেখা হবে না তোর সাথে
ছবিরা এখন শুধুই তোর
তুই তো ফিরিস না
ফেলে আসা পথে
উইন্টার বাউন্টিরা
উইনার হয় না আর
নিত্য নূতন নদী সময়
করছে পারাপার
তোর দেওয়া শ্রী নামটা
রয়ে গেছে আজো
শ্রীহীন শরীরের
মনের শরীর জুড়ে বহু বহুদিন ধরে।
✍মহুয়া
No comments:
Post a Comment