ক'দিন যেতে না যেতেই শঙ্কাটা বুঝি জেগেছিল মনে, মানে হয়তো কোন অব্যক্ত চেতনায়!
ছেঁড়া শাড়ির আড়ালে লুকিয়ে রাখতে চাইতো
তাকে, ইতিউতি তাকাতো সন্দেহের চোখে , বা , অজানা আশঙ্কায় ! 
কোথা থেকে কার দায় বয়ে নিয়ে এসেছিল , কে জানে!
কলির সঞ্চার হয়েছিল বিবর্ণ ফুলের প্রাণে ; 
তার উদভ্রান্ত চুল আর নির্ঘুম দৃষ্টিতে তাকে চেনা দায়!
সারাদিন সারা দুপুর  জুড়ে , কোনদিন সকাল থেকেই রাস্তার  উল্টো দিকের হোটেলের  গেটে,
মলিন চোখে দেখতো চেয়ে , যদি কিছু জোটে! 
সময় হয়ে আসছিল বোধহয় ...
নইলে খিদে তেষ্টার বোধ ও তো ছিল না তার 
গরজও দেখেনি কেউ কখনও চাইবার,
তার নিজের নয়, অন্দরে বেড়ে ওঠা সত্তাটার 
খিদে  পেতো মনে হয়!
প্রথম দিকে ঝড়-জল-রোদের তোয়াক্কা না করে
যেখানে -সেখানে থাকতো পড়ে ....
ইদানীং রোদ বাড়লে কষ্ট করে ব'সত গিয়ে 
ওই কাঁটা গাছটার ছায়...
লোকের উপহাস ব্যঙ্গ ঘৃণার দৃষ্টি অনুসঙ্গ 
মাখতো না গায়ে , চোখে নিয়ে উপেক্ষা 
আনমনে ছিলো অন্তহীন অপেক্ষায় !!
মাঝে মাঝে মলিন হাসতো, বুঝি দুয়েকটা কথা ও ব'লত নীচু স্বরে , 
দূর্বোধ্য কোনো অপত্য স্নেহের জোরে , 
বা, পাগলামির নিজস্ব বিলাসিতায় ! 
গতরাতে কোন একটা মিছিলে ,  লাঠিচার্জ হবার অনেক পরে কেউ দেখেনি তাকে,
হয়ত বা শেষ রাতের  ঝড়েই নিয়েছে  তার প্রাণটা কেড়ে , 
সকালে যখন লাশটা সবার চোখে পড়ে , তখনও গর্ভে আছে তার হাত। আর ছেঁড়া শাড়ির প্রান্তর .... মুখে প্রতীক্ষার ছাপ... অসীম মমতায় !!!!
 
  
No comments:
Post a Comment