Monday, 20 October 2025

স্রোতস্বিনী

আমার ভুল বানানের মেসেজগুলো
তুমি পড়েছো বহুৎ বার
কথা ও ছিলো মনের ভুল
কোথাও টাইপিং এরর

তুমিই সেই একলা সেই
এই পৃথিবীর ভীড়ে
যার স্মৃতি নিয়ে গতি
ঝরছে আঁখি নিরে

তুমিও আর সবার মতই
বেশ খানিকটা খারাপ
তবু রেখে গেছো হৃদপাথরে
তোমার পায়ের ছাপ

কখনই বোকা নই
ছিলাম নাকো অন্ধ
পারিনি ভাসতে স্রোতে আমার
লাগতো বড় মন্দ

ছাড়ো আর কি হবে আজ
স্মৃতির দেহ খুঁড়ে
আছে তারা তারার মত
মনের আকাশ জুড়ে

আকাশ দেখা সস্তা নয়
আছে অনেক ঝুঁকি 
মাঝে মাঝে উল্কাপতন
দেখতে হয় বৈকি

হাজার ঝঞ্ঝা পেরিয়ে কেন
কয়েক দশক পরে
যারা এসে ফিরে যায়
তাদের মনে পড়ে

হাত ধরে শিখিয়ে গেলে
কেমন হ'তে নেই
আমি আজও রয়ে গেছি
ঠিক যেই কে সেই

খারাপ এই দুনিয়াতে
তবুও তুমিই খারাপ সবচে' কম
আমার বলা লাখো কথা
শুনতে যে হরদম

তবুও যেন আসলে তোমায়
হয়নি কিছুই বলা
আমার কথা স্রোতস্বিনী
অবিরাম বয়ে চলা

রূপ-কাম-অর্থ-মোহ
সবই তুচ্ছ লাগে
অন্তহীন বলা শোনা
এই চাহিদাই আগে

তবুও বুঝি এটুকু লোভ
সহ‍্য হয়নি বিধাতার
বিশ্বাস কর তোমার চেয়েও অনেক বেশী
সে দোষ ধরেছে আমার


আজও তাই হাতড়ে বেড়াই
না শোনা-বলা অনেক অনেক কথা
সাঁতরাতে গিয়ে তলিয়ে পাই
ঠাঁই শীতল নীরবতা।।

                                       🖋@মহুয়া




Monday, 19 May 2025

কস্তুরি মন

সে বা তারা আমায় মাঝে মাঝেই জিজ্ঞেস করে, "প্রেমে পড়েছ?" আমি বলি, "পড়েই আছি, সেই কবে থেকেই! প্রেম পরের সাথে হয়? না না, কেউ পরের সাথে প্রেম করে না, করতে পারেনা, এ অসম্ভব! 
মানুষের মন মননে শিরায় উপশিরায় শ্বাসে ধমনীর স্রোতে প্রেম বয়ে চলে সম্পূর্ণ নিজেকে ভালোবাসার তাড়নায়। প্রেমের জন্যে কারোর মুখাপেক্ষি হতে হয় না আমাকে। সুর তাল লয়ের মত প্রেম বেঁচে থাকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে নিজেরই মাঝে। মনহরিণীর কস্তুরীর সৌরভে মাতোয়ারা মন নিজেই অবোধের মত সে পাগলকরা সৌরভের উৎস খুঁজে বেড়ায় এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তে। একবার যদি নিজের দিকে খেয়াল পড়ে দেখতে পাই, কোথায় আমি নিঃস্ব? আমার নিজের হাতের মুঠোয় পুরো বিশ্ব, সে বিশ্ব আমাকে ভালোবাসার, যা যতই বিলিয়ে দেই ততই বাড়ে, মন মাতে আনন্দে প্রফুল্লতায় লাস্যে। 
এ বাইরে থেকে আমদানীর পরের থেকে ধার নেবার বস্তু নয়। সঙ্গী? সে, চাই বটে, মাঝে সাঝে কার না সাধ জাগে, যে দেখাই,"দেখ আমার কাছে কি আছে!" 

সেই  সঙ্গী থাকলেও চলে, না থাকলেও চলে। আসল ত আমি । 

তাই যখন সে আবার জানতে চাইবে, আমি উত্তর দেব, "হ্যাঁ, প্রেমে পড়েছি বটে! পড়েই ত আছি সেই কবে থেকে!"

Sunday, 18 May 2025

বিতস্মৃত

উনিশের চেতনার চেতনা আর কই
বাংলা মাকে খাচ্ছে বেচে
সবাই চুপ করে রই।

না আছে শুদ্ধাচার না দেয় মা কে মান
আবেগ নিয়ে ব‍্যবসা চালায়
এমনই বেইমান

যারা দিলেন বুকের রক্ত
বাংলা মায়ের তরে 
তাদের কথা কজনের আর কদিন মনে পড়ে

একান্তই বাঙালির আচার পালন পর্বে
বাংলা 'গায়েব'
আরবী মেশা বাংলাই চলছে সদর্পে

মাতৃভূমির শত্রুদের সবকিছুই ভূয়া
বাংলা আবেগ মুখে কাজে
বিচ্ছিন্নতাকামী জুয়া

বাংলা এখন তুরপের তাস
ভাঙ্গতে দেশের ঐক‍্য
বিভেদের ছত্রছায়ায় হচ্ছে সর্বনাশ

বাঙালি আর বাঙালী কই
সবাই হিন্দু মুসলিম
উনিশের উপত‍্যকায় বাংলা হিমশিম 

কে আর মনে রাখে শহীদ হলে হিন্দু 
বিফলেই কি যাবে চলে
শহীদদের অশ্রু-রক্ত বিন্দু

পাঁচ মেশালি বাংলা বলা ভন্ড বরাকবাসী
দেশবিরোধী চক্রান্তে বলছে
বাংলা ভালবাসি

কালকে যদি দেশটা ভাঙ্গে তারাই করবে লুট
দেখা যাবে বাংলা প্রীতি
ছিলো নিরেট "ঝূট"

কার ফাঁদে কোন লোভে দিচ্ছি রোজই পা
উন্নয়ন তো জলের তলায় 
যাবে আছে যা ও বা

মাগো তোমার রাখতে গৌরব 
যারা দিল বলিদান
তাদের নাম কোনদিনও নাহয় যেন ম্লান

বরাকে বাংলা মা তোমার মলিন শাড়ী
এই লজ্জা বরাকবাসীর
অকৃতজ্ঞতা ভারী

দেশ ও থাকবে ভাষাও থাকবে এমন ভাবনা কই
ভাষা-শহীদদের প্রণাম জানিয়ে
নীরব বসে রই।


১৯৬১ সালের উনিশে মে বরাকের বাংলা ভাষা শহীদদের জানাই শতসহস্র প্রণাম।
প্রণাম আমার প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষা বাংলা মা কে। 🙏🙏🙏


         🖋মহুয়া




Saturday, 29 June 2024

বন্ধু

বন্ধু আমার চলে গেছে
দিয়ে সাত সমুদ্র পাড়ি
যাবার পথে দেখা একবার
আর আসবে না মোর বাড়ী

বন্ধু আমার নাবিক বড়
জাহাজ ফিরায় দেশে দেশে
দেখা করেছিল একবার
আমার সাথেও এসে

তারপরে মস্ত মানুষ ব‍্যস্ত বড়
দিয়ে গেল আড়ি
পরের বারে যেন তারে
ভালবাসতে পারি।।

Wednesday, 18 October 2023

শারদীয়া

বহুবছর হলো তোর তোলা
দূর্গাপুজোর ছবি দেখিনা
তোর শহরের রাতের রোশনাই, প‍্যান্ডাল,
থিম, হাতের ছাপ

বা অষ্টমীর সকালের দূর্গাদালান
বুড়োবুড়িদের আড্ডা 
তোর লেন্সে ধরা পড়া
নষ্টালজিয়া

আচ্ছা, কখনো খেয়াল করেছিস
নষ্টালজিয়ারা কখনও নষ্ট হয় না
জিইয়ে থাকে, 
তাই না?

আজো কি তেমনি করে
রাতের আলোদের করিস মুঠোবন্দী
স্পট মিটারিংয়ে
বাড়তি আলোদের শাসন করে

আকাশের তারায় মন না থাক
মাটির আলোগুলোকে 
বেশ ধরিস যখন
তখন তারাও ভাবে তাদেরকে তারা তারাই  লাগে

বৃষ্টির পর ঈষৎ সবুজ
পিছল পথে
কাঁঠচাঁপাটা পড়েছিল
মনে পড়ে?

তোর ছবিগুলো কাব‍্য।
তা হয়ত সবার ছবিই কম বেশী।
তবে আমি কিনা শুধু 
তোর সাথেই মিশি

পক্ষপাতিত্ব বলছিস?
তা হতে পারে
হতেই পারে
কে বলতে পারে

তুই একটা অজানা দ্বীপ
সমুদ্রের ঝড়ে পথ হারানো
রাতের নাবিক কাছে পৌঁছে গিয়েও 
আবার পথ হারায়

আশ্বিনের ভোরে এখনো যাস
পাখীদের পাড়ায়?
একলা সবুজ পাখী
ইয়া লম্বা সবুজ ঘাসের ডগায়

ওই যে নতুন শীতের আগে
হালকা কুয়াশার চাদরে ফুটছে
একটা কুসুম রঙা গোলা
একটা ছায়ামানুষ যায়

তোর পায়ের নীচে 
হীরে বসানো সবুজ গালিচা
তুই সেখানে সুখী একা
শান্তিময় শুভ্র নীরবতায়

কুমুরটুলিতে অসুরের রাগ
সিংহের দাঁত, মায়ের হাত
ছুঁয়ে আসিস আজো 
আগের মতো?

যদি বলিস, "না", তবে বলব
তুই  বুড়িয়ে গেছিস
অথচ তোর বয়স সাতাশ
হাজার বছর ধরে

নবমীর রাতে দশমহাবিদ‍্যার পুজো
মন্ত্রোচ্চারণ ধূপ ঘন্টা 
আজো দেখিস
রাত জেগে?

না কি চলে যাস শহর থেকে
অনেক দূরে
ভীনদেশী রাজাদের ফটকে উঠোনে
ঝাড়বাতির তলে

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দোকান
মনের চোখে সেই 
একই আজো 
আমার চোখের দৃষ্টিতে ম্লান

আরেকবার ঠিক আগের মত
ঘুরে আয় মুখ দেখে
সপ্তমী তে যাবে দেখা যারে
ষষ্ঠীতে রাখে ঢেকে

একটা দুটৌ করে
হয়ত এখনো রাত পথে
আলোর ঘুড়ি আকাশে কমলা ফানুস
তোর চোখে ধরা পড়ে

সেবার দেখেছিলাম 
তোর চোখে চোখ রেখে
নবমীতে যেন মায়ের 
ডান গালে জলের রেখার দাগ

আর মায়ের মিষ্টিমুখ
বিদায় দেবার আগে
আচ্ছা ভালবাসার পূর্ণতা কি
বিসর্জনের ত‍্যাগে?

আর দেখা হবে না তোর সাথে
ছবিরা এখন শুধুই তোর
তুই তো ফিরিস না
ফেলে আসা পথে  

উইন্টার বাউন্টিরা 
উইনার হয় না আর
নিত‍্য নূতন নদী সময়
করছে পারাপার

তোর দেওয়া শ্রী নামটা
রয়ে গেছে আজো
শ্রীহীন শরীরের
মনের শরীর জুড়ে বহু বহুদিন ধরে।

                             ✍মহুয়া


 








Sunday, 24 July 2022

মায়ামৃগ

আমি আজো হাত রেখে দেখি তোমার দেখে আসা প্রাসাদের কারুকার্য‍্যেয় গায়ে
হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখি তোমার যাবার মেঠো পথের ধারে কচি ঘাসের মাথায় 
হিরেকুচির মত তারা ঝিকমিক করে 
তোমার কুসুম রঙা শিশুরোদ পড়ে
তোমাকে মনে পড়ে 

শিশিরের ছোঁয়ার যখন আমার হাত ভিজে যায়
মনে হয় শুধোই তাদের 
তোদের ফেলে কেউ কি করে চলে যায়?

মাঝে মাঝে দহন দুপুরে পা ডুবাই
তোমার সেই নীরব ঝিল জলে
যেখানে পাখিরাও ঠিক তোমারই মত চুপ
তারাও নিঃশব্দে পালায় ডানা মেলে

রাতে আকাশে হাত বাড়ালেই পাই
বৃশ্চিকে, কন‍্যায়, 
চিত্রায়, কালপুরুষে তোমায় 

এই আকাশের খাতাতেই লেখা রয় 
সব হিসাব সবার

কার কতটা থাকবে
কার কতটা যায়

হাওয়ারা কখনও আমাকে নিয়েই 
আমার কানে এসে হাসে
তবু তো আসে
অন্ততঃ এটুকুই ভালবাসে

আকাশ মণিমুক্তোর আলোয়ান দেয় গায়
অনেক অনেক যুগের রাতজাগা চোখে
আমার অমতে ঘুম আসতে চায়

আমি একছুটে তোমার সাঁঝবাতির রূপকথাদের কাছে যাই
ওদের ছুঁয়ে দেখি ঘুমিয়ে পড়তে 
ফিরে আসি সন্তর্পনে গুটি গুটি পায়ে

হঠাৎ কানের খুব কাছে সেই চেনা গলা
চেনা হাসি
আমার ভীষণ ভরসার, ভীষণ প্রিয়, 
স্বর্গীয় সুখ যেন রাশি রাশি
তবে কি দুঃস্বপ্নে দেখেছিলাম 
তোমার চলে যাওয়ার
তবে এই যে হল কাছে পাওয়া 
কোনটা সত‍্যি?

কোনটা ঘোর কোনটা সত‍্যি?

এত বৃষ্টিরা কোত্থেকে এল?
ইশশশ্ তোমাতে আমাতে কত কথা হচ্ছিল
কত যুগ পরে বল! 
এই বৃষ্টিরা আসার ঠিক এখুনি
সময় পেল?

তোমার ভিজে কপাল মুছতে হাত বাড়াই
মাথা কান..
কানে ওটা কি? 
জোরে টানতেই ধরা পড়ল 
সবটা ফাঁকি

গতরাতে স্বাতী চিত্রা অরূন্ধতীর সাথে 
তোমার গল্প করতে করতে
তোমার চেনা স্বর ওদেরকে শোনাবার বেলায়
নিজের কানেও কি গুঁজে দিয়েছিলাম
কবেকার সেই কল রেকর্ড টা?


হা হা হা হাসে আজ রাতের হাওয়ারা
মুচকি হাসছে স্বাতীরা
আমি আজ তাদের সাথী
আমিও হাসি

শুধু ওদের লুকিয়ে তোমার সাঁঝবাতিদের
আরো একবার দেখে আসি

আবার হাত বুলিয়ে আদর মেখে রাখি
তোমার ফেলে যাওয়া পথের ধারে
কচি ঘাসেদের মাথায় শিশিরের গায়
আমার হাত ভিজে যায়

এর চেয়ে বেশী  কি পাওয়া যায়?

এর বেশী কে পায়?
ছুঁয়ে দেখি হাত রাখি
তোমার প্রাসাদের গায়...........

Tuesday, 26 October 2021

যদি জানতে চাই


ব‍্যালকনিতে চা খেতে খেতে 
বিকেলের সব কথা বলে দিয়েছ তাকে?
 
বা, কোন প্রবল ঝড়-বাদলের দুপুরে
ভীষন রকম ঘরকন্না করা হয়ে গেছে তোমার 
এবারকার মত?


আর কারো সাথে ভাগ করে নেবার মতন
একটু দুপুর বিকেল হবে না তোমার হাতে?


ভীষণ রকম শহুরে বাস্তববাদী
প্রয়োজন মতো বুঝে পা ফেলা তুমি 
একেবারে অকারণে অপ্রয়োজনে
কারো সাথে আর বসতে পারবে না দু দন্ড
তার খুব প্রিয় কোন গানের সাথে?

সেই পিয়ানোর সুরটার সাথে যেটা বাজছিল
সেই সেবার শীতের শেষ রাতে
তোমারি শহরে
তোমাকে না পাবার রাতে?

যে সুর সে রাত থেকে তার কান মনপ্রাণে
গ্রথিত হয়ে গেছে নিছকই সে
গান পাগল বলে নয়,
তোমার সাথে দেখা হবার
শেষ সুযোগ সময়টুকুও
মুঠো থেকে ঝরে যাবার
মর্মান্তিক অসহায়তার মুহূর্তের
সাথী হয়েছিল বলে


তার পাশে এজন্মে কোনদিনও কি আর
বসা হবে না তোমার 
তার অসুন্দর রূপ অনুর্বর বুদ্ধি 
আর বড্ড সেকেলে মন মাথাটার পাশে
তীব্র বুদ্ধির চৌখশ তোমাকে 
মানাবে না আর
সেই  প্রথমবারের মত?

বৃষ্টিভেজা রাতের ম‍্যানহাটনের রাস্তায় 
আর কখনও নেবে না তাকে 
ডালাসের তূলোপেঁজা আকাশে
তোমার দেশের সেই অদ্ভুত শান্ত ঝিলের পাশে
নীল সবুজের নীরব ভীড়ে 
যেখানে পাখিরাও চুপ থাকে
জানি কিসের নিয়ম মেনে
ঠিক তোমারই মতো...


তোমাকে ছাড়া তোমাকে নিয়ে 
মনের জীবন কাটে তার
তোমার প্রথম আসার নতুন শীতের
স্মৃতিতে তোলপাড় 
সে জানেনা পরজন্মে
দেখা হবে কি না তুমি হবে কার

এবারে কি তার কিছুই পাবার নেই??
জানতে চাইলে শ্রোতার গুমোট লাগে
ঘরের হাওয়ায় ভাসে
বাসী গন্ধ সেই

আর যদি আপন দুঃখ সে 
ভাগ না করে তোমার সাথে
সদা খুশী পেতে চাওয়া সুখী 
তোমাকে সে না জড়ায় আপন বিষাদে

নৈঃশব্দের প্রাচীর ভেঙে কি আসবে তুমি
একটা সূর্য‍্যাস্তে হাত রাখবে হাতে?

রূপ আর জাগতিকতার উর্দ্ধে 
তোমার সাঁঝবাতির রূপকথা
আর কথার নির্ভূল নিখুঁত বাঁধনে
নিজেকে হারিয়ে ফেলা
একমাত্র বিলাসিতা ছিল যার

তার বন্দরে তোমার কথার জাহাজ
ভিড়াবে আরেকটিবার?

এক ছটাক মায়ায়
লজ্জা সংকোচ অহংকার আমিত্ববোধ

ধুয়ে যায় তার 
তীব্র দহন রাগ অভিমান 
বাস্তবিকতার বোধ

শোন না!
তার খুব ইচ্ছা করে জানতে
তোমার হৃদপিণ্ডটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে
জড়িয়ে আঁকড়ে ধরে.....

কি ভাবছ তুমি?

ইচ্ছা তার বুকের ভিতর প্রবল দুর্ণিবার 
খুব চেনা সেই আপন মতো
তোমাকে ফিরে পাবার


কাঁচের দেয়াল ভেঙ্গে 
জমাট বাঁধা সব বাধা
করে দিয়ে ছারখার 
সামনে এসে দাঁড়াবে 
প্রথম দেখার সেই পুরনো পথের বাঁকে?
তিনটে হলদে সবুজ পাতা
আসুক না কোন জীর্ণ বিবর্ণ শাখে

পরনো ক‍্যানভাসে
আজো যার অসম্পূর্ণ ছবি ভাসে
সে আর কেউ নয়
সে শুধুই তুমি
সেই তুমুল তুমুল তুমি!!!