Saturday, 29 June 2024

বন্ধু

বন্ধু আমার চলে গেছে
দিয়ে সাত সমুদ্র পাড়ি
যাবার পথে দেখা একবার
আর আসবে না মোর বাড়ী

বন্ধু আমার নাবিক বড়
জাহাজ ফিরায় দেশে দেশে
দেখা করেছিল একবার
আমার সাথেও এসে

তারপরে মস্ত মানুষ ব‍্যস্ত বড়
দিয়ে গেল আড়ি
পরের বারে যেন তারে
ভালবাসতে পারি।।

Wednesday, 18 October 2023

শারদীয়া

বহুবছর হলো তোর তোলা
দূর্গাপুজোর ছবি দেখিনা
তোর শহরের রাতের রোশনাই, প‍্যান্ডাল,
থিম, হাতের ছাপ

বা অষ্টমীর সকালের দূর্গাদালান
বুড়োবুড়িদের আড্ডা 
তোর লেন্সে ধরা পড়া
নষ্টালজিয়া

আচ্ছা, কখনো খেয়াল করেছিস
নষ্টালজিয়ারা কখনও নষ্ট হয় না
জিইয়ে থাকে, 
তাই না?

আজো কি তেমনি করে
রাতের আলোদের করিস মুঠোবন্দী
স্পট মিটারিংয়ে
বাড়তি আলোদের শাসন করে

আকাশের তারায় মন না থাক
মাটির আলোগুলোকে 
বেশ ধরিস যখন
তখন তারাও ভাবে তাদেরকে তারা তারাই  লাগে

বৃষ্টির পর ঈষৎ সবুজ
পিছল পথে
কাঁঠচাঁপাটা পড়েছিল
মনে পড়ে?

তোর ছবিগুলো কাব‍্য।
তা হয়ত সবার ছবিই কম বেশী।
তবে আমি কিনা শুধু 
তোর সাথেই মিশি

পক্ষপাতিত্ব বলছিস?
তা হতে পারে
হতেই পারে
কে বলতে পারে

তুই একটা অজানা দ্বীপ
সমুদ্রের ঝড়ে পথ হারানো
রাতের নাবিক কাছে পৌঁছে গিয়েও 
আবার পথ হারায়

আশ্বিনের ভোরে এখনো যাস
পাখীদের পাড়ায়?
একলা সবুজ পাখী
ইয়া লম্বা সবুজ ঘাসের ডগায়

ওই যে নতুন শীতের আগে
হালকা কুয়াশার চাদরে ফুটছে
একটা কুসুম রঙা গোলা
একটা ছায়ামানুষ যায়

তোর পায়ের নীচে 
হীরে বসানো সবুজ গালিচা
তুই সেখানে সুখী একা
শান্তিময় শুভ্র নীরবতায়

কুমুরটুলিতে অসুরের রাগ
সিংহের দাঁত, মায়ের হাত
ছুঁয়ে আসিস আজো 
আগের মতো?

যদি বলিস, "না", তবে বলব
তুই  বুড়িয়ে গেছিস
অথচ তোর বয়স সাতাশ
হাজার বছর ধরে

নবমীর রাতে দশমহাবিদ‍্যার পুজো
মন্ত্রোচ্চারণ ধূপ ঘন্টা 
আজো দেখিস
রাত জেগে?

না কি চলে যাস শহর থেকে
অনেক দূরে
ভীনদেশী রাজাদের ফটকে উঠোনে
ঝাড়বাতির তলে

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দোকান
মনের চোখে সেই 
একই আজো 
আমার চোখের দৃষ্টিতে ম্লান

আরেকবার ঠিক আগের মত
ঘুরে আয় মুখ দেখে
সপ্তমী তে যাবে দেখা যারে
ষষ্ঠীতে রাখে ঢেকে

একটা দুটৌ করে
হয়ত এখনো রাত পথে
আলোর ঘুড়ি আকাশে কমলা ফানুস
তোর চোখে ধরা পড়ে

সেবার দেখেছিলাম 
তোর চোখে চোখ রেখে
নবমীতে যেন মায়ের 
ডান গালে জলের রেখার দাগ

আর মায়ের মিষ্টিমুখ
বিদায় দেবার আগে
আচ্ছা ভালবাসার পূর্ণতা কি
বিসর্জনের ত‍্যাগে?

আর দেখা হবে না তোর সাথে
ছবিরা এখন শুধুই তোর
তুই তো ফিরিস না
ফেলে আসা পথে  

উইন্টার বাউন্টিরা 
উইনার হয় না আর
নিত‍্য নূতন নদী সময়
করছে পারাপার

তোর দেওয়া শ্রী নামটা
রয়ে গেছে আজো
শ্রীহীন শরীরের
মনের শরীর জুড়ে বহু বহুদিন ধরে।

                             ✍মহুয়া


 








Sunday, 24 July 2022

মায়ামৃগ

আমি আজো হাত রেখে দেখি তোমার দেখে আসা প্রাসাদের কারুকার্য‍্যেয় গায়ে
হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখি তোমার যাবার মেঠো পথের ধারে কচি ঘাসের মাথায় 
হিরেকুচির মত তারা ঝিকমিক করে 
তোমার কুসুম রঙা শিশুরোদ পড়ে
তোমাকে মনে পড়ে 

শিশিরের ছোঁয়ার যখন আমার হাত ভিজে যায়
মনে হয় শুধোই তাদের 
তোদের ফেলে কেউ কি করে চলে যায়?

মাঝে মাঝে দহন দুপুরে পা ডুবাই
তোমার সেই নীরব ঝিল জলে
যেখানে পাখিরাও ঠিক তোমারই মত চুপ
তারাও নিঃশব্দে পালায় ডানা মেলে

রাতে আকাশে হাত বাড়ালেই পাই
বৃশ্চিকে, কন‍্যায়, 
চিত্রায়, কালপুরুষে তোমায় 

এই আকাশের খাতাতেই লেখা রয় 
সব হিসাব সবার

কার কতটা থাকবে
কার কতটা যায়

হাওয়ারা কখনও আমাকে নিয়েই 
আমার কানে এসে হাসে
তবু তো আসে
অন্ততঃ এটুকুই ভালবাসে

আকাশ মণিমুক্তোর আলোয়ান দেয় গায়
অনেক অনেক যুগের রাতজাগা চোখে
আমার অমতে ঘুম আসতে চায়

আমি একছুটে তোমার সাঁঝবাতির রূপকথাদের কাছে যাই
ওদের ছুঁয়ে দেখি ঘুমিয়ে পড়তে 
ফিরে আসি সন্তর্পনে গুটি গুটি পায়ে

হঠাৎ কানের খুব কাছে সেই চেনা গলা
চেনা হাসি
আমার ভীষণ ভরসার, ভীষণ প্রিয়, 
স্বর্গীয় সুখ যেন রাশি রাশি
তবে কি দুঃস্বপ্নে দেখেছিলাম 
তোমার চলে যাওয়ার
তবে এই যে হল কাছে পাওয়া 
কোনটা সত‍্যি?

কোনটা ঘোর কোনটা সত‍্যি?

এত বৃষ্টিরা কোত্থেকে এল?
ইশশশ্ তোমাতে আমাতে কত কথা হচ্ছিল
কত যুগ পরে বল! 
এই বৃষ্টিরা আসার ঠিক এখুনি
সময় পেল?

তোমার ভিজে কপাল মুছতে হাত বাড়াই
মাথা কান..
কানে ওটা কি? 
জোরে টানতেই ধরা পড়ল 
সবটা ফাঁকি

গতরাতে স্বাতী চিত্রা অরূন্ধতীর সাথে 
তোমার গল্প করতে করতে
তোমার চেনা স্বর ওদেরকে শোনাবার বেলায়
নিজের কানেও কি গুঁজে দিয়েছিলাম
কবেকার সেই কল রেকর্ড টা?


হা হা হা হাসে আজ রাতের হাওয়ারা
মুচকি হাসছে স্বাতীরা
আমি আজ তাদের সাথী
আমিও হাসি

শুধু ওদের লুকিয়ে তোমার সাঁঝবাতিদের
আরো একবার দেখে আসি

আবার হাত বুলিয়ে আদর মেখে রাখি
তোমার ফেলে যাওয়া পথের ধারে
কচি ঘাসেদের মাথায় শিশিরের গায়
আমার হাত ভিজে যায়

এর চেয়ে বেশী  কি পাওয়া যায়?

এর বেশী কে পায়?
ছুঁয়ে দেখি হাত রাখি
তোমার প্রাসাদের গায়...........

Tuesday, 26 October 2021

যদি জানতে চাই


ব‍্যালকনিতে চা খেতে খেতে 
বিকেলের সব কথা বলে দিয়েছ তাকে?
 
বা, কোন প্রবল ঝড়-বাদলের দুপুরে
ভীষন রকম ঘরকন্না করা হয়ে গেছে তোমার 
এবারকার মত?


আর কারো সাথে ভাগ করে নেবার মতন
একটু দুপুর বিকেল হবে না তোমার হাতে?


ভীষণ রকম শহুরে বাস্তববাদী
প্রয়োজন মতো বুঝে পা ফেলা তুমি 
একেবারে অকারণে অপ্রয়োজনে
কারো সাথে আর বসতে পারবে না দু দন্ড
তার খুব প্রিয় কোন গানের সাথে?

সেই পিয়ানোর সুরটার সাথে যেটা বাজছিল
সেই সেবার শীতের শেষ রাতে
তোমারি শহরে
তোমাকে না পাবার রাতে?

যে সুর সে রাত থেকে তার কান মনপ্রাণে
গ্রথিত হয়ে গেছে নিছকই সে
গান পাগল বলে নয়,
তোমার সাথে দেখা হবার
শেষ সুযোগ সময়টুকুও
মুঠো থেকে ঝরে যাবার
মর্মান্তিক অসহায়তার মুহূর্তের
সাথী হয়েছিল বলে


তার পাশে এজন্মে কোনদিনও কি আর
বসা হবে না তোমার 
তার অসুন্দর রূপ অনুর্বর বুদ্ধি 
আর বড্ড সেকেলে মন মাথাটার পাশে
তীব্র বুদ্ধির চৌখশ তোমাকে 
মানাবে না আর
সেই  প্রথমবারের মত?

বৃষ্টিভেজা রাতের ম‍্যানহাটনের রাস্তায় 
আর কখনও নেবে না তাকে 
ডালাসের তূলোপেঁজা আকাশে
তোমার দেশের সেই অদ্ভুত শান্ত ঝিলের পাশে
নীল সবুজের নীরব ভীড়ে 
যেখানে পাখিরাও চুপ থাকে
জানি কিসের নিয়ম মেনে
ঠিক তোমারই মতো...


তোমাকে ছাড়া তোমাকে নিয়ে 
মনের জীবন কাটে তার
তোমার প্রথম আসার নতুন শীতের
স্মৃতিতে তোলপাড় 
সে জানেনা পরজন্মে
দেখা হবে কি না তুমি হবে কার

এবারে কি তার কিছুই পাবার নেই??
জানতে চাইলে শ্রোতার গুমোট লাগে
ঘরের হাওয়ায় ভাসে
বাসী গন্ধ সেই

আর যদি আপন দুঃখ সে 
ভাগ না করে তোমার সাথে
সদা খুশী পেতে চাওয়া সুখী 
তোমাকে সে না জড়ায় আপন বিষাদে

নৈঃশব্দের প্রাচীর ভেঙে কি আসবে তুমি
একটা সূর্য‍্যাস্তে হাত রাখবে হাতে?

রূপ আর জাগতিকতার উর্দ্ধে 
তোমার সাঁঝবাতির রূপকথা
আর কথার নির্ভূল নিখুঁত বাঁধনে
নিজেকে হারিয়ে ফেলা
একমাত্র বিলাসিতা ছিল যার

তার বন্দরে তোমার কথার জাহাজ
ভিড়াবে আরেকটিবার?

এক ছটাক মায়ায়
লজ্জা সংকোচ অহংকার আমিত্ববোধ

ধুয়ে যায় তার 
তীব্র দহন রাগ অভিমান 
বাস্তবিকতার বোধ

শোন না!
তার খুব ইচ্ছা করে জানতে
তোমার হৃদপিণ্ডটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে
জড়িয়ে আঁকড়ে ধরে.....

কি ভাবছ তুমি?

ইচ্ছা তার বুকের ভিতর প্রবল দুর্ণিবার 
খুব চেনা সেই আপন মতো
তোমাকে ফিরে পাবার


কাঁচের দেয়াল ভেঙ্গে 
জমাট বাঁধা সব বাধা
করে দিয়ে ছারখার 
সামনে এসে দাঁড়াবে 
প্রথম দেখার সেই পুরনো পথের বাঁকে?
তিনটে হলদে সবুজ পাতা
আসুক না কোন জীর্ণ বিবর্ণ শাখে

পরনো ক‍্যানভাসে
আজো যার অসম্পূর্ণ ছবি ভাসে
সে আর কেউ নয়
সে শুধুই তুমি
সেই তুমুল তুমুল তুমি!!!



Friday, 10 September 2021

SIRIUS STAR | রুদ্র বা মৃগব‍্যাধ নক্ষত্র

SIRIS 🌟
মৃগব‍্যাধ। বৈদিক জ‍্যোতিষশাস্ত্রে এই নক্ষত্রের নাম রূদ্র অর্থাৎ শিব। এটি মধ‍্য বা শেষ রাতের আকাশে কালপুরুষ নক্ষত্রমন্ডলের কালপুরুষের কোমরবন্ধনীর সমান্তরাল রেখায় নীচের দিকে প্রতক্ষ‍্য করতে পারা বিভিন্ন বর্ণ বিচ্ছুরণকারী সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা। এটিকে RAINBOW STAR ও লা হয়। পুরাণে এই নক্ষত্রকে নিয়ে অনেক কাহিনী বর্নিত আছে। 

It's the sky's brightest star! Plus, anyone familiar with the constellation Orion can simply draw a line through Orion's Belt to find this star. ... Sirius is behind the sun as seen from Earth in Northern Hemisphere summer. In late summer, it appears in the east before sunrise, near the sun in our sky

(Sirius (/ˈsɪriəs/) is the brightest star in the night sky. Its name is derived from the Greek word Σείριος (Seirios, lit. 'glowing' or 'scorching'). The star is designated α Canis Majoris, Latinized to Alpha Canis Majoris, and abbreviated Alpha CMa or α CMa. With a visual apparent magnitude of −1.46, Sirius is almost twice as bright as Canopus, the next brightest star. Sirius is a binary star consisting of a main-sequence star of spectral type A0 or A1, termed Sirius A, and a faint white dwarf companion of spectral type DA2, termed Sirius B. The distance between the two varies between 8.2 and 31.5 astronomical units as they orbit every 50 years.[25]... #Wikipedia )

Captured with my mobile camera on 7th September 2021, at 4:41 A.M.

Sorry for the low quality of the video as I had to  capture this only with the device in my hand.. i,e my mobile.

Just couldn't resist. 😊🌟

Thursday, 20 May 2021

বিলম্বিত উনিশে মে

ভুলে গেছি উনিশে মে
এবার এমন হলো
মহামারীর বাজার ভারী ভোলায়
মায়ের চোখের জল ও?

মাতৃভাষা অশ্রুসিক্ত 
স্নিগ্ধ পরশ তাহার
না জানি কে তাহারে
কখন করে প্রহার

লাজ লাগে বাঙালিদের
ডাকতে মা বলতে মাতৃভাষা 
বাংলা টা ঠিক আসে না মুখে 
জয় আই অসম ঠাসা

উনিশে মে বিস্মৃতিতে
ভুলিনা লাচিত দিবস
বিজাতীয় রাজনীতিতে
অন্তরাত্মা বিবশ

ক্ষমো মোদের বীর একাদশ
লহো সহস্র প্রণাম
বঙ্গচেতনা অন্ধ ঘুমে
এখনো মধ‍্যযাম ।।






Saturday, 13 February 2021

ধৃত



মন যখন বিবশ বিকল
আত্মমোহে অন্ধ
সন্দেহের ঘেরাটোপে
জানলা দরজা বন্ধ 

সূর্য‍্যটাকে রাখছে ঢেকে
দিয়ে চোখে আঙুল চাপা
বলছে দিন নেই তো কোথাও 
কি অন্ধকার বাবা

গঙ্গাজলে কত পোকা
কি দূষিত যে
লোকে বলে পাপহরা
বোঝে নি বোকারা
আসলে নোংরা জল
পড়ে গেছে ধরা

হু হু বাবা আমি পড়তে জানি
ধরতে জানি 
কে আমার মত পারে?
সে নিজেই পড়ল ধরা
কে বোঝায় তারে 

May Almighty Forgive!!