শ্রদ্ধেয় অমর মহাশিল্পী শ্রী মান্না দে মহাশয়কে শতকোটি প্রণাম ॥
Thursday, 24 October 2013
হে শিল্পী ! লহ প্রণাম ! / তবে নহে এ শেষ প্রণাম তব মহাপ্রয়াণে;/ স্মরিব তোমারে, সহস্রবারে/ রেখেছি যত্নে হৃদয়-মাঝারে/ বাজিবে লহরী সকল প্রাণে/ চিরনবীন জীবন তুমি ; / অতুল্য গুণী সুরে ও গানে / যামিনী শশীতে তোমার দ্যুতি / ইমন-বেহাগ লুটাবে আকুতি/ রিক্ত হয়ে তোমার প্রয়াণে / রয়েছ তুমি জীবনগানে / পূর্ণ মোরা তব দানে অবদানে/ অমরশিল্পী রয়েছ প্রাণে...../
Tuesday, 22 October 2013
সেরা উপহার (???????)
বন্ধুত্বের সেরা উপহার;
অপমান উপহাসে হওয়া জেরবার!
নয় একবার ,হয় শতশতবার।
বন্ধুত্বের সেরা উপহার ,
মিথ্যা সুখের স্মৃতি আর কথার পাহাড় ,
বিশ্বাসে বাড়ানো হাত পুড়ে ছারখার !!
বন্ধুত্বের প্রিয় উপহার ___
কিছু ঘুম ভাঙা কবিতা আর শব্দ আমার ,
ঘুম ভাঙানিয়া পাখির সুর সমাহার।
বন্ধুত্বের শত উপহার ,
নরম কপোতপাখে উড়ান কাহার ;
হয়তো নিছক ভুল চোখের আমার !
বন্ধুত্বের আরো উপহার ;
অপবাদ আবিলতায় হয়ে একাকার
একান্তে রূধিরাশ্রু বয় নিরাকার ॥
বন্ধুত্বের যোগ্য উপহার ;
বন্ধুর মন-মুখে নির্ভুল বিষোদ্গার !
অকপট স্নেহের প্রতি উপহার ।
বন্ধুত্বের চরম উপহার ...
নিষ্ঠুর কশাঘাতে ফেটে চুরমার !
একটি কাঁচের মন, হৃদপিন্ড আমার ॥
বন্ধুত্বের দামী উপহার ,
সন্দেহ দূর্বাসা বিদ্রুপ -বাহার ,
অকুন্ঠ শুভেচ্ছা তবু রাখি বারবার ।
বন্ধুত্বের সেরা উপহার ,
লজ্জায় ঢাকে মুখ বন্ধুত্ব আমার ,
বন্দী মিথ্যা কারাগারে ; বন্ধুর পথ চলার ...
বন্ধুত্বের ক্লান্ত উপহার ,
দলিত আজ পদতলে, বলে শেষবার,
মনুষ্যত্ব নয় এ চরম দর্প! মিথ্যা অহংকার ;!!!!
Saturday, 21 September 2013
মৃতবৎসা
ক'দিন যেতে না যেতেই শঙ্কাটা বুঝি জেগেছিল মনে, মানে হয়তো কোন অব্যক্ত চেতনায়!
ছেঁড়া শাড়ির আড়ালে লুকিয়ে রাখতে চাইতো
তাকে, ইতিউতি তাকাতো সন্দেহের চোখে , বা , অজানা আশঙ্কায় !
কোথা থেকে কার দায় বয়ে নিয়ে এসেছিল , কে জানে!
কলির সঞ্চার হয়েছিল বিবর্ণ ফুলের প্রাণে ;
তার উদভ্রান্ত চুল আর নির্ঘুম দৃষ্টিতে তাকে চেনা দায়!
সারাদিন সারা দুপুর জুড়ে , কোনদিন সকাল থেকেই রাস্তার উল্টো দিকের হোটেলের গেটে,
মলিন চোখে দেখতো চেয়ে , যদি কিছু জোটে!
সময় হয়ে আসছিল বোধহয় ...
নইলে খিদে তেষ্টার বোধ ও তো ছিল না তার
গরজও দেখেনি কেউ কখনও চাইবার,
তার নিজের নয়, অন্দরে বেড়ে ওঠা সত্তাটার
খিদে পেতো মনে হয়!
প্রথম দিকে ঝড়-জল-রোদের তোয়াক্কা না করে
যেখানে -সেখানে থাকতো পড়ে ....
ইদানীং রোদ বাড়লে কষ্ট করে ব'সত গিয়ে
ওই কাঁটা গাছটার ছায়...
লোকের উপহাস ব্যঙ্গ ঘৃণার দৃষ্টি অনুসঙ্গ
মাখতো না গায়ে , চোখে নিয়ে উপেক্ষা
আনমনে ছিলো অন্তহীন অপেক্ষায় !!
মাঝে মাঝে মলিন হাসতো, বুঝি দুয়েকটা কথা ও ব'লত নীচু স্বরে ,
দূর্বোধ্য কোনো অপত্য স্নেহের জোরে ,
বা, পাগলামির নিজস্ব বিলাসিতায় !
গতরাতে কোন একটা মিছিলে , লাঠিচার্জ হবার অনেক পরে কেউ দেখেনি তাকে,
হয়ত বা শেষ রাতের ঝড়েই নিয়েছে তার প্রাণটা কেড়ে ,
সকালে যখন লাশটা সবার চোখে পড়ে , তখনও গর্ভে আছে তার হাত। আর ছেঁড়া শাড়ির প্রান্তর .... মুখে প্রতীক্ষার ছাপ... অসীম মমতায় !!!!
Thursday, 12 September 2013
WHO IS THE REAL BUSTARD? A CHILD WHO HAS BEEN BORNE AS A RESULT OF ANIMAL DESIRE, UNCONTROLLED PERVERTISM OF HIS/HER BIOLOGCAL SO CALLED PARENTS? OR, THOSE STINKY DOGGIES WHO THROUGH AN INNOCENT LIFE INTO EITHER A DUSTBIN OR ORPHANAGE, WHICH IS THE ONLY OUTCOME OF THEIR OWN UNCONTROLLED BEASTFUL LUSTER?
বেজন্মা বা হারামি কাকে বলে? যে শিশুটিকে জন্মাবার পরই ছুঁড়ে ফেলা হয় নর্দমায় বা জন্মানোর আগেই হত্যা করা হয় তার ভ্রূণ শুধুমাত্র তার জন্মদাতা বা দাত্রীর অপকীর্তি, আদিম উন্মাদনার সাক্ষ্য লোপাট করতে , সেই নিষ্পাপ অবলা প্রাণটিই কি বেজন্মা? না আসল বেজন্মা সেই পচাগলা নর্দমার পোকাগুলো যেগুলো ছড়িয়ে আছে সমাজের আনাচে-কানাচে, সর্বত্র , সর্বস্তরে মানুষের চামড়া দিয়ে ঢাকা সেই মুখোশ পড়া হারামি বা হারামিনী গুলো যারা সভ্যতার BRANDED পোশাক পড়ে অবলীলায় চালিয়ে যায় ঘোমটার নীচে খেমটা নাচ?
হ্যাঁ , আমার মতে আসল হারামি সেই নারী পুরুষেরা যারা আধুনিক জীবন ধারার দোহাই দিয়ে চরিতার্থ করে জান্তব আদিম তাড়না, যেখানে সেখানে যার তার সাথে কুকুর বিড়ালের মত।
হারামি তাদের শিক্ষা , তাদের সংস্কার যা তাদের ভিতরে সেই বোধ তৈরী করতে পারেনি যে, A HUMAN BEING IS THE COMBINATION OF ANIMALITY AND RATIONALITY, তাদের সেই চেতনাই তৈরী হয়নি যে, জীবে আর শিবে মিলে মানুষ । সেইসব আধুনিকতার বেলেল্লাপানায় অভ্যস্ত নরপশুরা এটাও শেখেনি যে জৈবিক প্রবৃত্তি বিকৃত , অবৈধ লালসাকে রোধ করার ক্ষমতা ই মানুষ কে আলাদা করে চিহ্নিত করে পশুর থেকে ।
না, আমি এখানে মানুষের সঙ্গা লিখতে বসিনি না আমার তা করার এক্তিয়ার আছে । আমি শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি, আর তা হল এটাই যে, এতই যখন বেপরোয়া আধুনিক মানুষরূপী আদিম কীটেরা, তবে কুকর্ম করে পালিয়ে যাস্ কেন বা সেই অপকীর্তি ঢাকার জন্য কেনই তোদেরই বিকৃত কামোন্মাদনার ফলে সৃষ্ট একটি নিষ্পাপ প্রাণ কে রাতের অন্ধকারে ছুঁড়ে দিস এঁদো পাঁকে বা জন্মাবার আগেই কোন নামীদামী নার্সিংহোমে গিয়ে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে ছেঁটে ফেলিস্ একটি সম্ভাবনাময় কলিকে তার বৃন্ত থেকে ? কিসের ভয়ে? কোন লজ্জায় ? আরে, তোরা না আধুনিক ? অন্ধ লালসায় লাথি মারিস্ সভ্যতার , মানবিকতার মুখে ? তাহলে কেন এই লুকোচুরি , এই পাশবিকতা, এই নির্মম হত্যা ? বা, কেন দিস একটি অবোধ প্রাণকে বেজন্মার শীলমোহর আমৃত্যু বয়ে বেড়ানোর জন্য যে কিনা তোদেরই লালসার কর্মফল ? তোরা তো 'আধুনিক'! তোদের অভিধানে তো ন্যায়-অন্যায় বলে কিছু নেই , তোদের ভাষায় তো "সব চলতা হ্যায়!" তাই না? তবে কেন এক পাপ লুকোতে আরও হাজার পাপ করেই চলেছিস্? একটি প্রাণ সৃষ্ট করে কেন তখন স্বীকার করতে পারিসনা সর্বসমক্ষে? তখন কোথায় যায় তোদের তথাকথিত আধুনিক ADVANCED মানসিকতা? আধুনিকতা মানুষকে উদার হতে শেখায়, কুসংস্কার থেকে নিজে মুক্ত হতে ও অপরকে মুক্ত করতে শেখায় । আধুনিকতা মানে আদিম পৃথিবীর দিকে উল্টো পথে হাঁটা নয়। আমার কথায় যাদের গায়ে ফোস্কা পড়ছে তাদের জন্য একটা কথাই বলব , আধুনিকতার দোহাই দিয়ে বেলেল্লাপানা করার লোভ যদি সামলাতে না পার তবে সেই লোভের পরিণতিকে স্বীকার করারও ক্ষমতা রাখ, তাকে হত্যা করে নয়, সততার সঙ্গে গ্রহণ করে। আর তা না হলে এটাই ভাল যে, শুধু তোমাদের জন্য TEXTILE INDUSTRY গুলো বন্ধ হয়ে যাক্ ! তোমরা এতেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে , ভাল থাকবে , কারণ , তোমরা যে আধুনিক , তোমাদের হিসেবে যে ,"সব চলতা হ্যায় !"
আর যাবার আগে শেষ একটা কথা না বললেই নয়.... অনেক নামীদামী সফল চিকিত্সক বা সার্জন রা মোটা টাকার লোভে নিজেদের বিবেককে বিক্রি করে নিজের অসাধারণ বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে করে চলেছেন গর্ভপাতের মত নারকীয় পাপ, ( যদিও এই জাতীয় পিশাচ শ্রেণির চিকিত্সকদের পাপলীলার আরো কোটি কোটি উদাহরণ আছে , এটি তার একটি মাত্র ) এবং এক শ্রেণির অতি আধুনিক দম্পতি আছেন যাঁরা এই মূহুর্তে তাঁরা সন্তানের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন বলে, তা জীবনকে নিজেদের মত উপভোগ করার জন্যই হোক , কেরিয়ার পথে বাধা হবে এই ভেবেই হোক বা গর্ভস্ত সন্তানটি কন্যাসন্তান জেনেই হোক , গর্ভপাত করাতে একটু ও দ্বিধাগ্রস্ত হন না।
এই সমস্ত আধুনিকমানুষবেশী প্রাণীদের প্রতি একটাই অনুরোধ যদি জন্ম দেবার মানসিক ক্ষমতা বা সাহস না থাকে তবে প্রাণের সঞ্চার হতে দেবেনই না। আর যদি ভুল করেও দিয়ে ফেলেন , তবে তাকে আসতে দিন পৃথিবীর আলোয়, তাকে দিন সুস্থ সুন্দর জীবন । কারণ , সে দায় শুধুমাত্র আপনার এবং আপনাদের । আর তা না করে যদি দিনের পর দিন এই হত্যালীলা চালিয়ে যান , তাহলে এই পাপের মাসুল দিতে হবে আপনাদেরকেই, এই জীবন দিয়েই , এই জীবনেই.... এবং ভয়ংকরভাবে ।
http://m.facebook.com/mahuya.chakrabarty?ref=m_notif¬if_t=wall&%24MURI__user=0#!/sharer-dialog.php?sid=392186374218491&refid=13&ref=m_notif¬if_t=wall
Wednesday, 11 September 2013
Upekhhito
Monday, 9 September 2013
তবু
তোকে দেব উপহার
এ সাধ্য কি আমার
লুটায় ধূলার পরে অসীম অনাদরে
বুনোফুল ব্রাত্য, নয় দেবতার
তবু আমি হাসিমুখে
সুখী হব তোরই সুখে
বুঝি এ পরাজয়
নয় কারো নয়
হয়তো আমার নয় বিধাতার
তবু দিয়ে যাব
বারবার
এ আমার চির অঙ্গীকার॥
Friday, 6 September 2013
হারিয়ে যাওয়া সময়
যারে তুই মন্দ বলিস,/
তার কথা যদি মানিস/
যদি ভাবিস দেবে কাজে ;/
মনকে সাজা নতুন সাজে!/
লোকের কথায় কি আসে যায়?/
স্বপ্ন তোর চোখের তারায় !/
জানি ব্রাত্য, কেউ না আমি ,/
দূর থেকে তাই শুভকামি.../
তোর কশাঘাতচিহ্ন কাঁদায় ! /
তাদের দেখেই মজি মায়ায় ,/
স্মৃতি শীতের জানলা খোলা .../
তোর নানান কথার খেলা .../
বাঁধনভাঙা পিছল্ চাঁদ /
প্রীতিভিলার দীঘল রাত ,/
ফুরিয়ে যেত এক নিমেষে;/
এক চুমুকে তোর নিঃশেষে !/
অজানা গন্তব্য ; দুই সহযাত্রী,/
অচিন ভাষায় সাজায় রাত্রি .../
কথার 'পরে জমত কথা ;/
রোদ -বৃষ্টি-ঝড়-কবিতা....../
তোর স্বপ্ন আমার চোখে ,/
পাতত আসন নিজের সুখে !/
জীবনগানের সেই ছবিটা .../
আজো ভাবে মন তার সবই টা!/
স্বপ্ন তাই আজও সাজে,/
আমার বুকের গহিন মাঝে ।/
কলঙ্কের সাজানো ডালি!/
মনের মুখে লাগানো কালি ,/
পারেনি তবু ভোলাতে তোকে,/
তোর স্বপ্ন পালি বুকে .../
তোর পরানো কাঁটার মালা ,/
পরে বুঝি সুখের জ্বালা !/
অনুভবি প্রতিক্ষণে;/
তোরই স্বপ্ন নিয়ে মনে!/
তোর জয়ে আমার বাঁচা ,/
দিস্ না যতই প্রহার -সাজা ! /
স্তব্ধ রাতে স্বপ্ন জাগে ,/
নতুন ছন্দে নবীন রাগে ।/
খুঁজি তোকে মনের মাঝে ,/
জোৎস্না ভেজায় ঘরের মেঝে..... /
