সংখ্যাগুলো এলোমেলো কেমন নাছোড়বান্দা ,
লাটাইর কালো সূতোয় ঘড়ির কাঁটা বান্ধা ।
দাসত্বে নদীর স্রোত নর্দমায় ভারী !
কালো মেঘ টানছে সময়, দূষিত এক্কাগাড়ী ॥
অনাহারে মরছে শিশু ; বিক্রি করে বাবা ;
কাঙালের পান্তাভাতে রাজাকারের থাবা ।
পরের রক্তে মাখছে ভাত, সুখীরা সব ভোগী
ফুসফুসে যার বিঁধছে ছোরা, সে মানসিক রোগী!
বিবেক হলো বর্বরতা, মূর্খতারই নাম,
কিংখাবে চামার রাজা, তুলসী তো বদনাম!
মনুষ্যত্ব পণ্য আজ, বিপন্ন এ সমাজ
বন্যপিশাচ মুখোশপরা, জমকালো তার সাজ !
খুনো ছুরি দামী পিরিচে কাটবে যখন ফল ,
সুখের সংঙা পাবে মানুষ, হবে যে সফল!
মুখটা হোক যেমন তেমন, মুখোশটা হোক দামী;
মনের কথা বলে যে মুখ, সে-ই নষ্ট-নামী॥
গরীব বলে মেধাবীটা পায় নি কোন সিট
টাকার খেলায় গর্দভেরা ভার্সিটিতে ফিট্!
কালো মেয়ে কিনতে আজো পাত্র বাড়ায় দাম;
কন্যাদায়ে বাপের ঝরে রক্তমাখা ঘাম!
মুখে সুরা পিঠে ছোরা বন্ধুত্বের দাবী
মিথ্যে ছল করছে খল, সত্য খাচ্ছে খাবি!
ফিনফিনে সাদা পোশাক ,তার বড়ই কদর!
কেউ বোঝে না ঢাকা পড়ে চরিত্রের কবর।
জীবনজুয়া খেলছে যারা, তারাই আসল সুখী
নামাবলী তাদের গায়ে, বদনামী হয় দুখী!
অনূঢ়াকে করতে বশ নামে কালো রাত!
দুই যুগের বন্ধু কেউ বাড়ায় লোভের হাত!!
ঘরে তার নববধূ, তবু লালসা অপার!
লোল জিহ্বা বাইরে খোঁজে নিষিদ্ধ খাবার !!
পুরুষ চালক সমাজ গাড়ী চোখে বাঁধা ঠুলি;
অন্ধ হয়েও অনায়াসে পৌঁছে কানাগলি!
অনূঢ়ার প্রত্যাখ্যান, কামবাসনা বিফল।
আক্রোশ তার চড়ে মাথায় বুদ্ধি অমঙ্গল !!
হিংসা করে নিল কেড়ে ছোট্ট লেখার খাতা ,
উপকারে কার নাকি নিয়েছে কিনে মাথা ?!!!
বদনামী অনূঢ়া আজ কুড়োয় ধূলোবালি ।
বুকের মাঝে খুঁজে বেড়ায় তার লেখনীর কালি ॥
তার কথা মানবে না কেউ সে এক সস্তা নারী ;
প্রতারককে মানবে সাধু, তার প্রোফাইলটা যে ভারী!!!
অনাশ্লেষে স্বপ্ন কিছু রাখো যদি বুকে ,
কলঙ্কের ছিঁটবে কাদা, পড়বে আঁচড় মুখে।
সরল সহজ মন মানবী নিত্য ধর্ষিতা,
অলক্ষী হস্তীনি সব এযুগে সাধ্ধী সীতা!!
এই হল সুস্থ সমাজ, আর এই সমাজ রীতি
মিথ্যা তার কুলদেবতা, সত্যকে পায় ভীতি!
সমাজ আর বদলাবে না, নিজেই বদলে যাও;
মন মাথা বাপ মা... নিজেকেও বেচে দাও !
দাঁও মারছে জিতছে পিশাচ, সমাজ পচছে গলছে,
সত্যে থেকেও নিথর জীবন মৃত্যুর দিকে ঢলছে ॥
No comments:
Post a Comment