যাব না আর যাব না সখী, যাব না তোর দ্বারে;
যেথায় তোর কুসুমলতা পড়ছে নুয়ে ভারে---
মাতবো না আর তাদের ঘ্রাণে, করব না আর চয়ন;
ছেঁড়া পুষ্পদলে মালা করব না আর বয়ন।
আজ হ'তে তোর বাগানখানা নয়কো আমার ঘর,
হিংস্র আঁচড়ে হৃদয় ফালা, করেছিস্ যে পর!
সরল কে চিনলি গরল, ভাবলি নয়তো বোকা,
বুঝলি না মন জেনেবুঝে নিচ্ছে তোর ধোঁকা!
জীর্ণ তারে করলি রোজ, পিষলি ছলে বলে,
হাসি তবু লুটিয়ে যেতো, মনটা চোখের জলে!!
ভাসতো সে তোর বাগানে, প্রজাপতি রং-মাখা,
ভ্রমর ভেবে তাড়ালি তুই, মুচড়ে দিলি পাখা !
খুবলে নিয়ে কলজেটা তার ভেঙে দিলি মন,
বোকা বুঝি মানতো তোকে সবচে আপনজন!
আজ থেকে আর আসবে না সে, থাকবি এবার সুখে,
মেঘের কান্না ঝরবে না আর তোর এই চাতক বুকে!
ছুটি তোর জীবনজুড়ে, আজকে খুশীর দিন,
রক্তমাখা হাতে শোধ করলি প্রেমের ঋণ!!
উড়বে না আর প্রজাপতি, বসবে না তোর শাখে,
ডানাদুটি ভেঙে গেলো, রক্ত লেগে পাখে!!
তোর খেলাঘর তোরই মতো, এলোমেলো রঙ ছাওয়া,
সপ্নবিভোর ভাবনা তাতে করবে আসা-যাওয়া....
কুড়েঘরে দিতাম বাতি, নামলে সাঁঝের বেলা,
ঝড়ো হাওয়ায় মরলো, গলায় সাদা ফুলের মালা।
ভাবনা আমার দখল করে শেষ পারানির কড়ি;
কার আঙিনায় থমকে দাঁড়ায়, জীবন অচল ঘড়ি॥
No comments:
Post a Comment