Wednesday 29 January 2014

আমার মৃতদেহ

আমি দেখতে পাচ্ছি
আমার মৃতদেহটা;
শ্বাস নিচ্ছে কিন্তু আমার ফুসফুস;
টের পাচ্ছে না, 
বুঝতেই পারছে না যে বেঁচে আছে। 

বেইমান শরীর আমার থেকে
নিয়ে গেল প্রাণের সুধা,
নিংড়ে নিয়ে আমার বাঁচার রসদ 
কুড়িয়ে জীবন ভেসে বেড়ায়
দিব্যি হেসেখেলে।

কোনটা ছিল না জানি না,
বারণ করবার মন না ক্ষমতা
শুধু জানি লুটিয়েছিলাম শরীরের গায়ে
সবুজ রঙের আবির
আর সে ও নিয়েছিল
দু'হাতে লুটে;
মেখে জীবনের রোদ,
আমায় বাতিল করতে করতে

সে বাঁচছে উত্তাল আজ
বিদ্রুপে হেসে ওঠে আমার দিকে চোখ পড়লে, বলে,
জরা জরা জরা....
আমার প্রাণ তার বুকের ভিতর,
সে আগের চেয়েও যুবা এখন
আমি জড়তা, তার দেওয়া
অসাড় দৃষ্টিতে
সব দেখে যাই।

তার ঔদ্ধত্ব বেঁচে থাকার,
কামের অহংকার
আমার খোলস দিয়ে
নিজেকে খোলসা করে।

জীবন তার অফুরাণ
বেঁচে থাকার উপাদান
আমার প্রাণের বিনিময়ে
নতুন শ্বাস কিনছে শয়ে শয়ে।

উল্লসিত আবেগে
কাঁপছে গভীর আবেশে
নতুনের স্পর্শে তার স্পষ্ট ওষ্ঠাধর,
আমার চোখের উপর দিয়ে
নিচ্ছে জীবনের ওম,
আমাকে বাদ দিয়ে, বাঁচছে
যাবতীয় সুখে
আমারই মৃতদেহ।

Sunday 26 January 2014

ME ON TWITTER

Check out @mahuya_chk2012's Tweet: https://twitter.com/mahuya_chk2012/status/427478849593425920

Tuesday 21 January 2014

আজ ২৬শে জানুয়ারী

আমি কি খুব সমঝদার বা মহান দেশপ্রেমিক?
কখনও কোন দেশ ভাবনায় হয়েছি কি শরিক?

দেশ তো দূরের কথা, আমার নয় মাথাব্যথা।
নিজের মাঝেই মশগুল সব, ভাবনার সময় কোথা?

সুইটস থেকে মিঠাই কিনে; ধরছি যখন বাড়ির গলি
হাত বাড়ানো কচি হাতে দিয়েছি কি এক-আধুলি?

নিজের ভিতর নিজে জানি, পরকে নিয়ে কানাকানি।
মন্ত্রীমশায় কি করল কোথায় তাই নিয়েই সব ন্যাকামি!

রাস্তায় পড়া সেই শেফালি; দিত পেত গালাগালি,
পাগলি বলে হাসলি পরে ঘেন্না ভয়ে সব পালালি!

তার তরে ত কাঁদেনি প্রাণ; মাঝে মাঝে গাইত সে গান,
মায়াবনবিহারিণী গলায় ছিল দারুণ যে তান।

পাগলী কিংবা সেই কচি হাত; ফুটপাতে আজো কাটায় যে রাত
কখনও কি একটিবেলা তাদের পাতে দিয়েছি ভাত?

তবে কেন দুষছি তাদের; ক্ষমতাটা আছে যাদের,
গা বাঁচিয়ে সটকে পড়ি; দোষ কি কিছু কম আমাদের?

লঙ্কায় যারা তারা রাবণ, বিচারখানা অসাধারণ,
ঘামটা গরীব চাটবে এবার মানুষ থেকে দামী লবণ!

স্বাধীন দেশে মন্ত্রী-প্রজা; শালা আমরা সবাই খোজা!
লুটছি স্বার্থ হচ্ছি বেহুঁশ, বিবেকের চোখটা বোজা।

কাটাকাটি মারামারি তারই ফাঁকে পকেট ভারী।
প্রজাতন্ত্রে চামার রাজা; প্রজেক্টটা চুরি- চামারি॥

এমনি আমরা ঘরে-বাইরে; গুণের ত শেষ নাই রে,
রাজা-প্রজা মিলে মোরা দাঁতের ফাঁকে দেশ চিবাই রে।

থাকছি আমরা মিলেমিশে; করব চুরি লজ্জা কিসে?
ধরবে কেউ সাহস কোথায়; নিশ্চিন্ত এই পোড়াদেশে।

অসহায়ের রক্তে রাঙা আপেল সাজে সোনার থালায়,
একটিবার সাজত যদি খানেওয়ালা জুতার মালায়!

তবে ওই যে বল্লাম, সাজছি মোরা একই সাজে!
একে অপরের পিঠ চুলকে দিব্যি ব্যস্ত বিশাল  কাজে।

এরই নাম দেশপ্রেম; তার কাছাখোলা নীতি,
সাধু-চোরে মাসতুতো ভাই; জব্বর পিরীতি।

অফ দ্য পিপল বাই দ্য পিপল ফর দ্য পিপল ঘোড়া;
ঠুলি পরা চোখ দুটোতে তার পা দুটোই খোঁড়া।

সহিসের  হাতে চাবুক; গতির গলায় শিকল।
উল্টোপথে ছুটছে গাড়ি কলকব্জা সব বিকল॥

তাই আর দোষ কি বল যদি ইয়াং জেনারেশন,
জাতীয় ছুটিদিবসের নাই বা বুঝল ইমোশন?

সেই দিবসের মর্ম বুঝে তারা করবে কি আর বল?
হলি ডে টাই আসল কথা, বাদবাকি সব জলো!

দেশমাতার আঁচল ছেঁড়া, জীর্ণ মলিন শাড়ি,
দুঃখ তাঁর দেখতে মোদের বয়েই গেছে ভারী।

ভারতমাতা ভারাক্রান্ত; ছেলে দিচ্ছে ধোঁকা,
অশ্রু হয়ে রূধির ঝরে, মা কি আমার বোকা??

দালালদের হাতে এখন দেশের ভাগ্যচাবি,
নোংরা মনের কলেবর গিলে করা পাঞ্জাবি।

দেশ যাক রসাতলে; কেন ফালতু ভেবে মরি;
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশার বাড়াবাড়ি!

ভাষণগাড়ীর চাকার নীচে অভুক্তের সারি।
তবু প্রজাতন্ত্রদিবস আজ ২৬শে জানুয়ারী॥





*****************************
  *শুভ প্রজাতন্ত্রদিবসে*  আমার দেশ ভারতবর্ষকে প্রণাম জানাই।

Monday 20 January 2014

চোর-পুলিশ খেলা

বাজার এখন জবরদখল         চোর-পুলিশের  খেলা।
    পুলিশ-ফাঁড়ি দেয় পাহারা চোরেরা সারাবেলা॥
গৃহস্হের মাটির ঘর         শান্তি সাচ্চা ভাতে।
    সততার ঘরদেয়ালে কারা গো আড়িপাতে?

ঘরের মালিক সোজাসরল         একটুখানি বোকা,
     চোরের সাথে সই পাতিয়ে বসল খেয়ে ধোঁকা।
গল্পটা মজার ভীষন         শুনতে যদি চাও,
     কেমনে চোর কাটল সিঁধ বলে দেব তা ও॥

দিনদুপুরে নাড়ল কড়া         গৃহস্হের কপাল,
      চাঁদবদন দেখে ভুলে ভাবল নাড়ুগোপাল!
সুযোগ বুঝে চোরটা লোপাট         করল ধনে মানে
      আস্তিনের ছুরির ফলা আমূল বসাল প্রাণে!

রক্তমাখা হাতে তারে          উল্টে শাসায় চোর,
      বলে আমি করব চুরি নামটা হবে তোর।
অন্যায় অপরাধের          ছাড়িয়ে গেল মাত্রা
       বরাতজোরে প্রাণটা শুধু বাঁচল এ যাত্রা।

দুধকলায় সাপ পোষা         বন্ধ হল এবার,
       গৃহস্হের হুঁশ হল দরজা তালা দেবার।
চোর সব বাটপারেরা         ছেয়ে গেছে দেশে,
        খিল দিয়ে দরজাটাতে স্বস্তি পেল শেষে।

এতকিছু করেও তবু         জুটছে না যে রেহাই,
       ঘুরঘুর করছে চোর, ছোঁকছোঁকটা সদাই।
মুখোশ পরে ফাঁড়িপথে          করছে আনাগোনা,
       জানে না তার পায়ের ছাপ বড্ড আছে চেনা!

কি ঝামেলা বাপ রে বাপ্          খুঁজছে গুপ্তচর!
       আবার বোধহয় করবে চুরি মাটির কুঁড়েঘর।
কতোয়ালকে ডাকে চোর          তার উপরেই নজর।
       পুলিশ-বাড়ী দেয় পাহারা শয়তানের খোঁচড়॥












PHOTO: COLLECTED

Thursday 16 January 2014

কোষ্ঠীবদল

দাদা, একটা কবিতা লিখবে
আমাকে জিতিয়ে দেবার?
কেউ না জানুক, তুমি ত জানো
আমি যে মেনেছি হার!

বিশ্বাস কর, সেই ছোট থেকে
ভাগ্যের রেখাটা সদাই গেছে বেঁকে
দিয়ে গেছি আদর
নিয়েছি শুধুই প্রহার!

আসলে পাপ, জান ত!
নাহলে কষ্টগুলো এমন কেন হত?
মাকে জ্বালিয়েছি এত, জ্বালাই
জ্বালাব রোজ প্রতিনিয়ত!

সদবংশজাত, তবু অভিশপ্ত
জন্মে উল্কার মত,
আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুক করেছি নীল,
মাতৃজঠরে ক্ষত!

কিসের অভাব বল?
মন্ডামিঠাই রাশি
পূজোতে বেণারসী
মা দিয়েছে নিয়েছি লোভীর মত।

পরা হয়নি জান,
দেখতাম মাঝে মাঝে,
ফেটে যাচ্ছে, আমার জীবনের মত
জায়গায় জায়গায় ভাঁজে ভাঁজে!

কেন পারিনি বল, না না তুমিই বল,
এমন কেন ঘটে?
যারা অনেক সুখী
তাদেরও দেখিনি যে এতকিছু জোটে!

খুব বিত্তশালী নয় বোধহয়
মায়ের বিত্তের বৃত্ত হৃদয়
মা বাপের অন্নধ্বংস
আর অস্তিত্ব করেছি ক্ষয়।

কোনদিকে কাজের  নই,
অসাফল্য আমার সই
যেদিকে বাড়িয়েছি হাত
সর্বনাশের ধারাপাত,

এমন কেন হল?
আমার সবটাই জলো?
মাঝেমধ্যেই ভাবি,
পূর্বজন্মের পাপে খাই খাবি!

সন্তান ছাত্রা সখি
এ যাত্রায় আমি ফাঁকি
আমার সব পরীক্ষায় ফল
নাস্তানাবুদ, হলাহল।

জীবনের সব অলিগলি
সব ঘুরেফিরে পড়ে গিয়ে
দূর্ভাগ্যের বড় রাস্তার মোড়ে,
আর আমিও চলি।

এখন কি মনে হয় জানো?
বুঝি নিতে পারি ভগবান বেটার জান ও!
একটা মেয়ের সুখ তার কি সহ্য হয়?
পুরুষ বই ত নয়!

কষ্ট দিল বলে বলিনা,
মনটা দিল বলে
এত কিছুর পরেও
ভরছে না ছলে-জলে!

গোড়ায় একটা গলদ আমার
মনটা মাথায় মোটা
বিবেকের খোঁটায় বাঁধা
হচ্ছে না যে চামার!

যেখানেই যেভাবেই তারে লুটাই ভুলে
সেখান থেকেই আঙ্গুল তুলে
মনশিকারিরা স্বার্থশেষে
পোড়ায় তারে দলে দলে।

বাপ মায়েরা বড্ড বোকা!
বানালো না চারচোখা,
শেখালো না ধান্দাবাজী,
হারছি, তাই জীবন বাজী।

বন্ধু ভাই গোষ্ঠীজ্ঞাতি,
জগৎজোড়া তাদের খ্যাতি
পারিনি তাদের মত হ'তে
ভাসতে গড্ডালিকার স্রোতে

স্বার্থপরতা জীয়নকাঠি
না চিনলে জীবন মাটি!
জান দাদা, সব্বাই চেনে
আমি চিনিনা এটাও জানে

গোপন ব্যথা বলতে আসে
ছড়াবে না জানে বাতাসে
তারাই আবার পাগল বলে
কাজ ফুরালে জোটে হাসে

অভিযোগ কোথায় করছি বল,
করছি কেবল মনটা নিয়ে
যারা তারে পিষে মারে
তাদের তরে ভেবে মরে,
পারেই বা কেমন করে!!

হতাম যদি কামজোয়ারি
বোধহয় কেউ কভু না দিত আড়ি
স্বার্থ হত মাখামাখা
স্বার্থক হত জীবনরেখা।

বোকার মত করলে উজাড়,
নিজেই নিজেকে করলে বেজার
শিকারি হাসে শিকার দেখে
রক্ত মেখে চোখে মুখে

ভয়াবহ এঁদোগলি
হাড়ের উপর হারের খেল
মনের সাজা যাবজ্জীবন
পরীক্ষাতে ডাহা ফেল।

একটি কাজ করবে দাদা
একটি ছোট্ট জিত-কবিতা,
লিখবে মনের মত করে
এই একটুখানি ঘটা করে?

নয় ঘটনার ঘনঘটা,
বলবে মনের জিতের কথা
বলব কি আর সব ত জান
যদি তারে সত্যি মান!

কারো কাছেই নইকো দামী
আমার কাছেও নয় 'আমি' টা,
কোষ্ঠীটা বদলে দিও
মনের মত গড়ে দিও,
অলীক আমার সেই ছবিটা

পেলাম না যা ধরার 'পরে
ধরে দিও আমার তরে,
একটি বার শুধু একবার
খাই না যেন  ভাগ্যের মার!

চাইব একটি জিনিস আরো
শুধু তুমি তুমিই দিতে পার
দিও দাদা সেই মনিহার,
'হারিয়ে যাওয়া সময়' আমার

একটুখানি ছিলো খাঁটি
বাকিটা কেবল শুধুই মাটি
সেইটুকু খাঁটি নিয়ে
আর জনমে জনম নিয়ে

কাঁচের দেওয়াল ভাঙার পরে
যেন আসে হাজার বছর পরে
আমার সম্পূর্ণতা
সব অসম্পূর্ণতার পরে,
ফিরিয়ে দিও শুধু আমার করে,
আমার জিত তোমার করে॥

                             

                                           (দাদাকে...)

Sunday 12 January 2014

My Sunset Album

People love Sunrise Because, it brings the shines of a New day, New Hope. But, m l'l bit different... Sunset is MY favourite Most. Because, it brings shine, Thousand shades and rays of Colours, Feel of nostangiya, connects my soul with innumberable feelings... & many more. In a simple sentence, It touches me to the core And says everything about my soul in deep.



Here, I put my few captures together.



My Sunset Album:
Golden shine of The evening...

Swarna Godhuli...

Nirer Tane...

Ruper Chhotay...

Bidayi Sur...

Obosheshe...

Wednesday 8 January 2014

অবিস্মৃতি

যারা ছিল যাদের ছিল শুধু তারা জানে
যদিও সব এলোমেলো করে গেলো; 
ছিঁড়ে-খুঁড়ে নিলো, একদম ইচ্ছা করে
তবু সব জানে।

বললে হবে, যে শুধুই করেছে বলে ভোগ,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেয়েছে জীবনের অপর্যাপ্ত সুখ

শুধু তাই বলে মনে পড়বে না,
শীতের শীতল সেই একটি শিশিরকণা
কষ্টে নীল হয়ে যাওয়া একটি কুৎসি মুখ!

মাটি আর ক্ষেত কেউ ফলায় কেউ ফলে;
ফসলের শেষে নরম মাটি বন্ধ্যা হয়ে জ্বলে ---
যোগাযোগ খালি একটি মরশুমের,
দেশের গায়ে চিহ্ন থাকেনা শীতঘুমের
ফাটলের ফাঁকে পিঁপড়েরা বাঁধে বাসা
মাটি কামড়ায় দলে দলে।

তাই বলে সত্যিই কি মনে পড়ে না নাকি?
দুয়েকটা শস্যকণা পড়ে কি আর থাকে না
ফাটলের খাঁজে,
যেমন জেগে থাকে পুরনো স্পর্শ প্রিয়
চিবুকের ভাঁজে,
নিজের ভিতরে নিজেকে কত দেওয়া যায় ফাঁকি?

সুখ কারোর মুঠোয়, কেউ বা খর-কুটোয়,
কোনভাবেই ছিঁটেফোটা নেই মিল;
থাকতে পারেও না,

তবু হলফ করেই বলা যায়; একটু হলেও থেকে যায়,
মাটির ভেজা গন্ধ ফসলর গায়;
  লেগে থাকে একটুখানি আকাশের নীল

কখনো হয়ত সূর্য্যাস্তের শেষ আলোটা ধরে,
কোন নদীর পাড়ে;
বা শহরের ঘর্মাক্ত ভীড়ে, ছাতিফাটা দুপুরে;
তারা মনে মনে দেখা করে যায়,
এমনটা ত হতেই পারে

কৈশোর পেরিয়ে একটু বড়র দিকে
সময়ের সাতকাহন, একপক্ষ আলোড়ন
ধরে রাখে তরফদারী করে;
হতে দেয়না ফিকে,
ব্যস্ততায়, অহংকারে

ভেসে যাওয়া উড়ে পালানো শহুরে দমকা হাওয়া
মাটিতে কি রাখেনা পা
ভুল করেই হয়ত বা,
একটিবার কি খোঁজে না
তার অচিন দেশের মৌসুমী?

খুঁজে হয়ত; দেখা করে নিজেদের অজান্তে
জড়ায় অদৃশ্য অমোঘ আলিঙ্গনে
যখন হাত রাখে নিজের হাতে,

অনুভব করে অসফল নরম মাটির স্পর্শ
একচিলতে হাওয়া শিষ দেয়
শেষ ফসলের কানে----