Wednesday 8 January 2014

অবিস্মৃতি

যারা ছিল যাদের ছিল শুধু তারা জানে
যদিও সব এলোমেলো করে গেলো; 
ছিঁড়ে-খুঁড়ে নিলো, একদম ইচ্ছা করে
তবু সব জানে।

বললে হবে, যে শুধুই করেছে বলে ভোগ,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেয়েছে জীবনের অপর্যাপ্ত সুখ

শুধু তাই বলে মনে পড়বে না,
শীতের শীতল সেই একটি শিশিরকণা
কষ্টে নীল হয়ে যাওয়া একটি কুৎসি মুখ!

মাটি আর ক্ষেত কেউ ফলায় কেউ ফলে;
ফসলের শেষে নরম মাটি বন্ধ্যা হয়ে জ্বলে ---
যোগাযোগ খালি একটি মরশুমের,
দেশের গায়ে চিহ্ন থাকেনা শীতঘুমের
ফাটলের ফাঁকে পিঁপড়েরা বাঁধে বাসা
মাটি কামড়ায় দলে দলে।

তাই বলে সত্যিই কি মনে পড়ে না নাকি?
দুয়েকটা শস্যকণা পড়ে কি আর থাকে না
ফাটলের খাঁজে,
যেমন জেগে থাকে পুরনো স্পর্শ প্রিয়
চিবুকের ভাঁজে,
নিজের ভিতরে নিজেকে কত দেওয়া যায় ফাঁকি?

সুখ কারোর মুঠোয়, কেউ বা খর-কুটোয়,
কোনভাবেই ছিঁটেফোটা নেই মিল;
থাকতে পারেও না,

তবু হলফ করেই বলা যায়; একটু হলেও থেকে যায়,
মাটির ভেজা গন্ধ ফসলর গায়;
  লেগে থাকে একটুখানি আকাশের নীল

কখনো হয়ত সূর্য্যাস্তের শেষ আলোটা ধরে,
কোন নদীর পাড়ে;
বা শহরের ঘর্মাক্ত ভীড়ে, ছাতিফাটা দুপুরে;
তারা মনে মনে দেখা করে যায়,
এমনটা ত হতেই পারে

কৈশোর পেরিয়ে একটু বড়র দিকে
সময়ের সাতকাহন, একপক্ষ আলোড়ন
ধরে রাখে তরফদারী করে;
হতে দেয়না ফিকে,
ব্যস্ততায়, অহংকারে

ভেসে যাওয়া উড়ে পালানো শহুরে দমকা হাওয়া
মাটিতে কি রাখেনা পা
ভুল করেই হয়ত বা,
একটিবার কি খোঁজে না
তার অচিন দেশের মৌসুমী?

খুঁজে হয়ত; দেখা করে নিজেদের অজান্তে
জড়ায় অদৃশ্য অমোঘ আলিঙ্গনে
যখন হাত রাখে নিজের হাতে,

অনুভব করে অসফল নরম মাটির স্পর্শ
একচিলতে হাওয়া শিষ দেয়
শেষ ফসলের কানে----

No comments:

Post a Comment