বাজার এখন জবরদখল চোর-পুলিশের খেলা।
পুলিশ-ফাঁড়ি দেয় পাহারা চোরেরা সারাবেলা॥
গৃহস্হের মাটির ঘর শান্তি সাচ্চা ভাতে।
সততার ঘরদেয়ালে কারা গো আড়িপাতে?
ঘরের মালিক সোজাসরল একটুখানি বোকা,
চোরের সাথে সই পাতিয়ে বসল খেয়ে ধোঁকা।
গল্পটা মজার ভীষন শুনতে যদি চাও,
কেমনে চোর কাটল সিঁধ বলে দেব তা ও॥
দিনদুপুরে নাড়ল কড়া গৃহস্হের কপাল,
চাঁদবদন দেখে ভুলে ভাবল নাড়ুগোপাল!
সুযোগ বুঝে চোরটা লোপাট করল ধনে মানে
আস্তিনের ছুরির ফলা আমূল বসাল প্রাণে!
রক্তমাখা হাতে তারে উল্টে শাসায় চোর,
বলে আমি করব চুরি নামটা হবে তোর।
অন্যায় অপরাধের ছাড়িয়ে গেল মাত্রা
বরাতজোরে প্রাণটা শুধু বাঁচল এ যাত্রা।
দুধকলায় সাপ পোষা বন্ধ হল এবার,
গৃহস্হের হুঁশ হল দরজা তালা দেবার।
চোর সব বাটপারেরা ছেয়ে গেছে দেশে,
খিল দিয়ে দরজাটাতে স্বস্তি পেল শেষে।
এতকিছু করেও তবু জুটছে না যে রেহাই,
ঘুরঘুর করছে চোর, ছোঁকছোঁকটা সদাই।
মুখোশ পরে ফাঁড়িপথে করছে আনাগোনা,
জানে না তার পায়ের ছাপ বড্ড আছে চেনা!
কি ঝামেলা বাপ রে বাপ্ খুঁজছে গুপ্তচর!
আবার বোধহয় করবে চুরি মাটির কুঁড়েঘর।
কতোয়ালকে ডাকে চোর তার উপরেই নজর।
পুলিশ-বাড়ী দেয় পাহারা শয়তানের খোঁচড়॥
PHOTO: COLLECTED
No comments:
Post a Comment