Tuesday 31 December 2013

মৃত্যুর জন্মদিনে

কত একুশে ডিসেম্বর আসবে; কত যাবে চলে,
মায়া-সভ্যতা জ্যোতিষীর বাণী;
আজকাল কি ফলে?
আসলে আমরা সবাই মৃত; অকারণে হচ্ছি ভীত
ভাবছি যে বেঁচে আছি,
বাঁচার লোভ প্রতিনিয়ত।
তবু মরছে মানুষ মারছে মানুষ
সুস্থ জীবন?
রঙিন ফানুস!
সময়ের উপর পাপের বড় ঋণ!
প্রত্যেকটি সকাল মৃত্যুর জন্মদিন॥

এমনি একটি জন্মদিনে বা;
কোন মৃত্যুরাতে,
জীবন দিয়ে জীবন চায় মৃত্যুকে চিনে নিতে।
মরণ আবেশে প্রাণের জোয়ার,
এমনি রাতে হয় একাকার---
হয় ব্যস্ত নেশার হাটে,
পৃথিবী ধ্বংস হ'বার রাতে।

স্বপ্ন কিনছে বেচছে সময়,
মৃত্যুর সাথে মন বিনিময়
সওদা মাথা বিকিকিনি,
অনিবার্য চিরন্তনী॥

দেখা হয় জাল মাধ্যমে
সময় দাঁড়ায়; যেন বাধ্য মেয়ে।
মুখ দেখায় দরজা খুলে; মধ্যযামে,
মৃত্যুর হাত ধরে শিশির নামে। 

ধ্বংস-প্রহরে বিনিদ্র পৃথিবী
আঁকা হয় অন্য ছবি,
মৃত্যুর হাতে,
সেই শেষরাতে।

মৃত্যুর আঁতুরঘরে ঠিক তার পরে,
ঠিক হলো আগামীর ভাঙাগড়া,
শেকল পড়ায় রাত;
লুকিয়ে মৃত্যুছোরা!
কুয়াসার রাতে আলো ঝিলমিল!
মরীচিকার টানে আলেয়ার মিছিল।

আসলেতে!
আজকের এই ভাঙাচোরা পৃথিবীতে
এটাই সবথেকে বড় সত্যি!
এখন তো এটাই হয়,
মৃতের জন্মদিনে শবেদের ভীড়,
আর কিছুই নয়।

ভবিষ্যতের হাজার মৃত্যু জন্ম নেয়;
পৃথিবী ধ্বংস হ'বার রাতে।
জীবন-মরণ বাঁধে জোট,
বয় একই খাতে---

মৃত্যু জড়ায় অদ্ভুত সূচনায়,
কাড়ে জীবনের প্রাণ, বিন্দুমাত্রহীন অনুশোচনায়!
আনে জীবনের ধিক্কার!
আলো-আঁধার সব একাক্কার।
জীবনকে আঁকড়ে মরণ-ষড়যন্ত্র,
মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত।

ঘুণধরা দেয়াল ভাঙায়,
জীবন চমকে থমকে দাঁড়ায়।
তবু মৃত্যুকে করে স্বীকার,
দেয় প্রতিশ্রুতি সাথ দেবার,
উজাড় করে;
ভালবাসার অঙ্গীকার॥

মরণ হাসে মুখটিপে,
ধরে শিকার, একই জালে,
একবার নয়,
বার প্রতিবার।
মাছ খেলায় নতুন ছিপে;
শুষে নেয় নিজের মাঝে,
জীবনের সব রং,কালো করে।

জীবন তবু ধরে বাতিদান;
হাত বাড়ায় জিতিয়ে দেবার সবকটা আশে,
মৃত্যু ঝলসায়! আগুন ধরায়;
তার একশো একটা বিশ্বাসে!

খেলে যায় দিন মাস বছর পেরিয়ে,
জীবনকে নিংড়ায় সব ফুরিয়ে ,
জীবন বিলায় লাল রং
হৃদয়কুসুমের; মৃত্যুর অংশে।
মেটেনা ক্ষুধা; মৃত্যুর স্বাদ জেব্রার মাংসে!

তবু জীবন তাকায় মৃত্যুর পানে,
সাধ যায়, মৃত্যুকে সাজায় অসীম প্রাণে!
সত্যের উপর মিথ্যের মারণ খেলা,
অন্তর্দ্বন্দ চলে সারাবেলা,
মৃত্যুও আকর্ষিত; জীবনের প্রতি,
কামনা তীব্র; নির্মাণ গতি
স্বার্থে দূর্নিবার,
চালে শত্রুতা, যেন এক পরিবার!
জীবন খোঁজে মৃত্যু,
মৃত্যু বোঝে শত্রু,
জেনেশুনে করে গ্রাস, বারোমাস। 
খল আবেশে মুখ না ফেরায়, 
তবু দুজনায়; পিঠোপিঠি ব'সে ঠায়,
পারস্পরিক অমোঘ টানে।

জীবনকে করে ধূসর,
মৃত্যু চিরন্তন দোসর,
জীবন আঁকড়ে থাকে
আঁকড়ে রাখে কাঁকড়ার মত,
শেষ পর্যন্ত।
পান করে প্রাণ, জীবনের বুকচিরে;
জীবনের পরিণতি তারই হাতধরে---

এটাই জীবন, এটাও তো জীবন!
একমাত্র মৃত্যুই সাথ দেয় জীবনের আমরণ;
আমৃত্যু সঙ্গ, চায় শুধু নিতে আর পেতে,
বুকপেতে !
মুখ তার ছলনা, যন্ত্রণা বলেনা,
বুক পোড়ে আর জলন্ত ওষ্ঠাধর!
লুকোনর প্রচেষ্টা জোর,
অভিনয় অনুসঙ্গে;
আছড়ে পড়তে চায়, থামে কপটতায়
অহংকার বহিরঙ্গে!

জীবন-মরণ খেলা এমনি চলে একসাথে,
পরিচিত হয় তারা;
পৃথিবী ধ্বংসের রাতে।
জীবন করে জীবন-ক্ষয়, মৃত্যুর হাত ধরে,
যে আসবে হাজার বছর ধরে,
যখন ঝরাপাতা জীবনের উঠোনে,
কোন মৃত্যুর জন্মদিনে; বা,
একটি জন্মের মৃত্যুদিনে!

সেদিনই হবে সকাল,
ভৈরবীকে বলেছে মহাকাল,
চোখে চোখ হাত রেখে হাতে
জীবনের কানে কানে,
নীলকন্ঠের গানে গানে

বলে গেছে খুবধীরে,
চুপশীতনিরে

আমি আসিব ফিরে আসিব
আবার আসিব ফিরে॥

...........................................................
  The above written lines...or words..I don't know what should I say, or, how to define the writting actually.
Sometimes, we can't express ourselves or our thoughts in a tipical or concrete manner of writting.

  Some writtings are only the extract and rebust expression of our feels, which can't be restricted by so-called rhydomic boundaries. 

  The aforsaid lines are the only outcome of some strange and unusual memories that were supposed to burst out. And, I have added some lines from an old conversation related to the memory, as it was in reality.

  The lines, "আসলেতে ............. শবেদের ভীড়" and the last line, "আমি.........আসিব ফিরে" I have added from someone's comments, who was the second important participant of that conversation, other than me.

...........................................................

  উপরের লেখাটিকে আমি কোনভাবেই কবিতা বলার চেষ্টা করব না, বরং বলব যে, এ আমার কোন পুরনো স্মৃতি এবং তার সাথে নিজের   জীবনের বাস্তবিকতার সামঞ্জস্যকে এলোমেলো অথচ হুবহু তোলে ধরার দুর্নিবার তাগিদমাত্র।

  এবং এতে কয়েকটা লাইন(যা আগেই উল্লেখ করেছি) পুরনো একটি আলোচনায় আমার যিনি অংশীদার ছিলেন তার মন্তব্য থেকেই নেওয়া।

  এবং, এখানে একটা কথা বলা দায়িত্ব মনে করি যে, যদিও আমি লেখক বা কবি নই তবুও নিজের এলোমেলো, অবিন্যস্ত ক্ষমতাটুকু দিয়েই খুঁড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।

  তাই আমার লেখার স্বার্থে ব্যবহার করার জন্যে নয়, বরং এই লাইনগুলোকে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে দিতে চাইনা বলেই এই লাইনক'টিকেও এই লেখায় সামিল করলাম।

  এই লেখায় মৃত্যু বলতে আমাদের জীবনের নানা জটিল ও মর্মান্তিক আঘাত বা বাধা যা আমাদের স্বপ্ন, চলাও বিশ্বাসকে আহত করে, সেটাকেই বোঝাতে চেয়েছি।

*****************************

সময় আসে ফুরিয়ে যাবার জন্য
মানুষ তাকে করে তোলে আরও বিপন্ন
শীত আসে শরৎ হয়ে শীত চলে যায়
স্মৃতিরা ভীড় করে শিরায় শিরায়
বিবর্ণ ঝরাপাতা ঝরে বলে গেল
আগের মত নেই কিছুই; সবই এলোমেলো
নেই নেই বাজছে আজো নিঃস্ব বাতাসে
যন্ত্রণা-স্পর্শে শীত যায় আসে......... 

PHOTO CREATION: M.C

No comments:

Post a Comment