Tuesday, 26 January 2021

প্রেম বনাম ভালোবাসা

প্রেম জিনিসটা খুবই রগরগে। সহজে উৎপন্ন হওয়া উত্তেজনাময় আকর্ষণভিত্তিক চঞ্চল সুখী এডভেঞ্চার, যার তীব্রতা চরম আর স্থায়িত্ব ক্ষণজীবী, প্রত‍্যাখ‍্যানে উগ্র বেশীরভাগ ক্ষেত্রে।
এবং অহংকার, হিংসা, লোভ, চাহিদা, ঘৃণা, স্বার্থপরতার উর্দ্ধে নয়। মন উঠে গেলে মন নূতন ঠিকানা ঠিকই খুঁজে নেয়।

ভালোবাসার গতি ধীর। সাবলীল ও স্নেহশীল গতি। দেনা পাওয়ার হিসাবে কাঁচা। সময় নিয়ে বোঝাপড়া নিয়ে গড়ে ওঠা একটা আন্তরিক মায়ার বাঁধন। যার শিকড় ছড়িয়ে পড়ে মননের গভীর থেকে গভীরতর স্তরে। সুখের স্বার্থ সেখানে গৌণ। ভালবাসতে পারার শান্তিই মনকে আগলায় ইতিবাচক চিন্তন নিয়ে। প্রত‍্যাখান সেখানে দুঃখ আনলেও ঘৃণা ও প্রতিহিংসার আগুন প্রত‍্যাখানকারীকে জ্বালিয়ে খাক করতে চায় না। আর মন? একাকি হয়ে যাবার পড়েও পুরোনো মুখটাই আঁকা রয়ে যায় মনের ক‍্যানভাসে। ভালবাসা সেই ক‍্যানভাসকে কখনও ফিকে হ'তে দেয় না, ঝেড়েমুছে যত্নে ধরে রাখে মনের মনিকোঠায় ছবির মানুষটা বদলে দূরে সরে হারিয়ে যাবার পরেও। তারও পরে। আরও পরেও। অ___নে____ক পরেও। মনে থাকে তিক্ত অভিজ্ঞতা গুলো। কিন্তু মন মনে রাখে ভাল সময়টাকে। অতীতের কোন ভাল মূহুর্তকে সে নূতন করে বাঁচে, তাকে ছাড়াই তাকে ভেবে। কোন পুরোনো মজার স্মৃতিচারণে মানুষ একাই হেসে ফেলে, তারপর হাসতে হাসতেই কেঁদে ফেলে চটক ভেঙ্গে বাস্তবে ফিরে। অনেকটা মা চলে যাবার পরেও মায়ের শাড়ীতে মায়ের গন্ধ খোঁজার মত কষ্টের, সুখের, কষ্টের।
মন সেখানে বাতিল হবার পরেও নিঃস্বার্থ। মঙ্গলকামী।

ভালোবাসার অত গভীরতা, অত মায়া, অত ধৈর্য্য, অত সুনিপুন স্থায়িত্বের সহনশীলতা প্রেমের কোথায়??
তবে হ‍্যাঁ, যদি প্রেম সেই সীমান্ত স্পর্শ করতে পারে তখন তারও নাম হতে পারে ভালোবাসা।

তা না হলে,
প্রেম সমুদ্রতটে বালিতে লেখা নাম, যা এক পলেই ছোট ঢেউয়ে ধুয়ে যায়।

আর ভালোবাসা,
পাথরের বুকে খোদাই করা নাম, যা পাথর ফেটে গেলেও বা শ‍্যাওলায় ঢাকা পড়লেও ঠিক রয়ে যায়।

প্রেমে সহস্রবার পড়া যায়। ভালোবাসায় নয়।

Romance is temporary.
Love is permanent.

Romance is an emotional feeling of love for, or a strong attraction towards another person, and the courtship behaviors undertaken by an individual to express those overall feelings and resultant emotions. In romance, when one is out of sight he/she is out of mind. Romance is loud & demanding.

Love encompasses a range of strong and positive emotional and mental states, from the most sublime virtue or good habit, the deepest interpersonal affection, to the simplest pleasure. In love, things end, but memories stay alive..ever. Love is calm, subtle & self-abnegating.

Romance fells for you...
Love grows for you with affection...little by little......

Sunday, 29 November 2020

#জীবনেরহ‍্যাসট‍্যাগ

অপরিচিতরা একদিন হঠাৎ দেখা হয়ে 
খুব বেশী পরিচিত হয়ে যাবার পর 
আবার একদিন 
স্বল্প পরিচিতের চেয়েও কম হয়ে যায়। #বাস্তব

এখন বলতে কেন ভাবতেও বাধো বাধো লাগে
হারিয়ে যাওয়া সেই নতূন শীতের ছবিটারই
খোঁজ পড়েছিল সেদিন হন‍্যে হ'য়ে
হারিয়ে যাওয়ার পরে  #মন
 
মানুষ নিজে বদলায় ঠিকানা ও বদলে যায়
সেই নতূন শীতরঙা ক‍্যনভাস তখনও শীতঘুমে
স্মৃতির চিলেকোঠায়  #মায়া

জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত সৈনিকের হঠাৎই চোখ লেগে যায়
কোন এক ঝিমধরা মধ‍্যদুপুরে
দৃষ্টি থমকায় চিলেকোঠার কোনে 
সেই শীত ছবি সেই শীত ছবি!!!  #স্বপ্ন

একি! রং নেই, ফিকে কেন 
একদার ঘাসের শীষে হীরের শিশিরওয়ালা 
শীতভোর-সূর্য‍্যের 
কুসুমরঙা ক‍্যনভাস?  #সুপ্তক্ষত

চটক ভেঙ্গে চোখ খুলতেই 
মগজটা অসভ‍্যের মত  
ফিসফিসিয়ে হিসহিসিয়ে ওঠে,
কানের খুব কাছে 
"রং টা বড্ড কাঁচা ছিল যে!"  #উপলব্ধি


Friday, 6 November 2020

আবার দেখা হলে

কোনদিন যদি দেখা হয়
 জিজ্ঞেস করোনা ভাল আছি কিনা

 এই ভদ্রতা আমার ভালো লাগেনি কোনদিন আমি নিতেও জানিনা 

ভালো থাকাটা নষ্ট করে দিয়ে 
সময় নিজের ডানা নেয় গুটিয়ে 

সে সময় আর যাই হোক
 কুশল জানতে চাইতে পারে না

 অনেক রঙ আর অনেকখানি আলো কে  কালো দিয়ে ঢেকে রেখে 
তাদের পথ হঠাৎ করে অন্য দিকে যায় বেঁকে

মুখে হাসি নিয়ে সব ঠিক থাকার ভান
আমাকে দিয়ে হয়নি কোনদিন 

সময়ের কারসাজি সাজানো বাসী
জীবনের উপর কত ঋণ

তাই ভদ্রতা নেই আর
আমি এখন একান্তই আমার 

তার চে যদি অহংকারে না বাধে 
বসলে বোসো 

একটু দূরত্ব রেখে 

কথা বলতেই পার পুরনো চেনা দেখে 

যদি জানতে চাও কি করছি আজকাল 

ভুলেও বলে ফেলব না জেনো
আজও সেখানেই আছি 
যেখানে রেখে গেছিলে কাল 

তোমার বা আমার গাড়িটা ঠিক তখনই হয়তো আসবে 
অনেকখানি ব্যস্ততার মধ্যে একফোঁটা স্মৃতি একতরফা ভাসবে 

তুমি নয় আমি দ্রুত গাড়িটা ধরে নেব
রোমন্থনের আগেই আবার আলাদা হয়ে যাব 

কেউ কারো দিকে ফিরে তাকাবো না আর 

সবুজ ক্ষেত পিছনে ছুটছে জানলার কাঁচে
আমি জানি তারা এখন আবছা হবে মাঝে মাঝে  
...

Tuesday, 19 May 2020

১৯শে মে এবং বর্তমান বরাক উপত‍্যকা | দুয়েক কথা

 পশ্চিমবঙ্গে বরাকের বাংলা ভাষা আন্দোলন নিয়ে দু কথা লেখা খুঁজে পাওয়া বেশ শ্রমসাধ‍্য। একুশে ফেব্রুয়ারির সামনে ত বরাকের রক্ত ফিকে পড়ে যায়! কত দেখলাম।

অবশ‍্য, বরাকবাসীরা নিজেরাই এর ব‍্যতিক্রম কিসে?
শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার বেলা বিশেষ উদ্দেশ্যে হিন্দি ভাষার বিরোধ করার বেলা এদের এই দিনটিকে মনে পড়ে। আর সেই একই দুষ্ট উদ্দেশ্যে এই বরাকেই লাচিত দিবস পালন করতে অসুবিধা হয় না, "জয় 'আই' অসম' স্লোগান দিতে লজ্জা করে না সেই  অসমীয়াদেরকেই তুষ্ট করতে, যারা আমাদের বাংলা মায়ের টুঁটি টিপে ধরেছিল, পিষে মেরে ফেলেছিল বাংলা মায়ের সন্তানদের তাদের মুখ থেকে মা ডাক মুছে ফেলার জন্যে, কন্ঠরোধ করে দেবার জন্যে ১৯৬১ সালেই নয় শুধু, এর অনেক আগের থেকেই এই ভাষাবিভেদ ও আঞ্চলিকতার বিষবৃক্ষের শিকড় ছড়িয়ে পড়েছিল শুধু বরাক উপত‍্যকাতেই নয়, সমগ্র আসামে। গোয়ালপাড়া সহ আরও বিভিন্ন হিন্দু বাঙালি অধ‍্যুষিত অঞ্চল থেকে হিন্দু বাঙালিদের  অত‍্যাচার, হত্যা, বসতবাটীতে অগ্নিসংযোগ করার মাধ্যমে বলপূর্বক বিতাড়ন করা হয়, তাও রীতিমতো সরকারি নির্দেশে!


আর এই অসমীয়াদের সুখতলাই চাটছে বরাকের বর্তমান বুদ্ধিজীবী বাঙালিরা। অসমীয়া ভাষা পাঠ‍্যক্রমে বাধ্যতামূলক হলে তখন আর তাদের "উনিশে মে" মনে পড়ে না। শুধুমাত্র হিন্দির প্রসঙ্গ এলেই তাদের গায়ে ধুম জ্বর আসে। তবে, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার আসাম চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ কে বলবৎ করার যে ইঙ্গিত দিচ্ছে তাতে, ১৯৬১ সালের পরিস্থিতি প্রত‍্যাবর্তনের সমূহ সম্ভাবনা। বরং বর্তমানে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। কারণ, আসামের 'বঙালী খেদাও' এর নায়করা মূলতঃ হিন্দু বাঙালি খেদাও এর নায়ক, এবং সেটা আসামের যে কোন রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে।
সম্প্রতি এক উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্বের মুখের কথা শুনেছিলাম যাঁর বক্তব্য ছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন CAA প্রসঙ্গে এইরূপ, যে আসামে ৪০০০০০০ বিশেষ সম্প্রদায় (যাদের মূল অংশই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী) তাদেরকে সহ‍্য করতে রাজী কিন্তু, মাত্র ৫০০০০০ হিন্দু শরণার্থীদের নয়। ভোটের রাজনীতি কত ঘৃণ্য! পরে যদিও তিনি সুর পাল্টান, তবে সুর আর দল বদলেও ভিতরের উদ্দেশ্য কিন্তু বদলায় না। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ১৯৬১ সালের ভাষা আন্দোলন এর সাথে বর্তমান CAA, ৬ নং অনুচ্ছেদ, ও বরাকের নীচমনা বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নপুংসকতা ও চক্রান্ত কিন্তু ভীষণভাবে পরস্পর সম্পর্কিত। কারণ, আসাম তথা বরাকে বাংলাবিরোধী যে বিষধোঁয়া আবার কুন্ডলি খুলে ফণা তুলতে চাইছে, তাতে আসামীদের সঙ্গে এবার হাত মেলাবে বরাকের সেই  বাঙালিরা যারা, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আইন আনলে, সরকারকে মুসলিম বিরোধী বলে মিথ্যা প্রচারণা ও বিশ্বাস করে। যারা রত্নগর্ভা ভারত ও বাংলা মায়ের কোন মহান  যোগ্য সন্তানের জীবনী জীবনেও পড়েনা বা পড়লেও অনুপ্রাণিত হয় না। পাকিস্তানের কোন নামকরা ব‍্যক্তি তাদের কাছে আদর্শ। 


উনিশে মে র কোন মূল্য  নেই  তাদের কাছে, কারণ, তাদের বাঙালি মা বাবার কাছেই বাংলার মূল্য নেই। যে দেশে জন্মায়, বাঁচে, যে ভাষায় মুখের প্রথম বুলি ফোটে, সেই দেশ হোক বা ভাষার সম্মান কেন আদরটুকুও নেই। এরা হিংসা ও আক্রোশে এত অন্ধ। ভারতমাতার বুকের রক্ত খেয়ে পরিপুষ্ট আর বাংলা মায়ের নরম কোলো নিশ্চিতে শুয়ে পাকিস্তানের প্রতি গভীর টান আর আরবের প্রতি উন্মাদ আকর্ষণ বোধ করে।

এরা তাই বাঙালী  হয়েও বাংলাকে কেন ভালবাসবে? এরা বাঙালী হয়েও বাংলা নাম রাখেনা সন্তানদের। দেশ-ভাষা-মা ডাক এর আগে এদের কাছে স্হান পায় ধর্মান্ধতা। আরবি মিশ্রিত ভাষাই এদের সত্যিকারের মাতৃভাষা।

এরা রবীন্দ্রনাথ, সুকান্ত জানে বোঝে না। নজরুলের নামটুকুও নেয় শুধুমাত্র ধর্মের আবেশে। তারা আসল নজরুলকে জানার চেষ্টাও করেনা। 


আর বরাকের বাংলা আন্দোলন ও ভাষাশহীদের কি সম্মান করবে আর ভালবাসবে, তাদের মর্ম বুঝবে আর সন্তানের বোঝাবে?
তারা আরব চেনে এত শিক্ষিত কিন্তু, ১৯ শে মে বোঝে না, এত মর্মান্তিকভাবে নিঃস্ব, হৃদয় ও মস্তিষ্কে। 
তাদের সন্তানরা সরকারের বিরোধী কথা বলতে জানে দেশদ্রোহীদের সমর্থনে গলা ফাটিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অশ্লীল অভদ্র ভাষায় গালি দিয়ে নিজেকে রাজনীতিবিদ ভেবে অহংকারের ঘোরে পাগল হয়ে মরে, কিন্তু, এক পঙ্ক্তি বাংলা শুদ্ধ করে লিখতে পারে না। লেখা ত দূরস্ত, উচ্চারণটুকু অব্দি আসেনা, সিলেটিতে অব্দি আসে না, আবার মাঝে মাঝে অন‍্যের অনুকরন করে শুদ্ধ বাংলা লিখতে গিয়ে যা লেখে তা পড়তেও লজ্জা বোধ হয় বাঙালি হিসাবে। পারে যে না তার উপলব্ধি বা লজ্জাটুকুও নেই।

কিন্তু, আরবি, হিন্দি, অসমীয়াটা বেশ আসে, অন্ততঃ মাতৃভাষা বাংলার থেকে তো ভালই আসে। আর ইংরেজিতে তো অক্সফোর্ড।

তাই উনিশে মে নিয়ে এরা শিক্ষা ও চেতনাশূণ‍্য। বরাকের ভাষা শহীদরা তাদের বিচারে বাঙালির আগে হিন্দু।

তারাই তো, বরাকের বাংলা উপর আঘাত হানতে অসমীয়াদের হাত শক্ত করবে! ধর্মান্ধতার স্বার্থে এরা যদি দেশদ্রোহী বিরোধী আইনের বিরোধীতা করতে পারে, আতঙ্কবাদ সমর্থক রাজনৈতিক দল ও দলনেতাদের আদর্শ মানতে পারে, তাহলে মাতৃভাষা আর 'মা' ডাক কে ও বেচতে পারে। বিবেকহীন মানুষ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। থাকবেই।
আর এদের সমর্থক আবার বরাকেরই বাঙালী কবি সাহিত‍্যিকরা!
হেসে বাঁচিনে!

বলার উদ্দেশ্য একটাই যে, এখনো যদি আমরা বরাকের বাঙালিরা নিজেদের ধর্ম, রাজনৈতিক স্বার্থ ভুলে শুধুমাত্র বাঙালি হিসাবে ঐক্যবদ্ধ না হতে পারি, তাহলে মিথ্যে হয়ে যাবে বরাকের বাংলা ভাষাশহীদদের রক্তক্ষয়ী আত্মবলিদান।

আজ যদি আমরা নিজেদের নিকৃষ্ট স্বার্থ বাংলা ভাষার শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলাই সেই দিন দূর নয় যেদিন CAA এর জন্যে নয়, ভাষা ও আঞ্চলিকতার বিদ্বেষের জন‍্যে বরাক উপত‍্যকার সমগ্র বাঙালি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে উঠবে, ধর্ম ও রাজনৈতিক পক্ষাপক্ষ নির্বিশেষে। কারণ, মাতৃভাষা একটি জাতির 
অস্তিত্বের প্রথম সোপান।

সবশেষে একটা কথাই বলব, যে আমি আমার জন্মদায়িনী মায়ের কাছে সীমাতীত কৃতজ্ঞ যে, মা আমাকে বাংলা কে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন, ১৯শে মে এর দুপুরে বরাকের বীর ভাষাশহীদদের সম্মানে এগারোবার যে কামান দাগা হয়, সেটা শুনতে শিখিয়েছিলেন। মাতৃভাষা বাংলার জন্যে কিছু করতে না পারলেও প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে সেটাই শোনোর জন‍্যে কান পেতে রই আজো। আর শোনামাত্র বুকের ভিতর কিছু একটা গুমরে মরে আজো। 

যদিও এবার শুনলাম না। দুপুর গড়িয়ে গেল।

উনিশে মে র বরাকের বাংলা ভাষা শহীদদের প্রণাম জানাই। 🙏



Wednesday, 26 February 2020

দেখা হবে




অনেকেই এসেছে তুই আসার আগে
কেউ গেছে কেউ যেতে গিয়ে রয়ে গেছে
তুই আসার থাকার বা যাবার পরে..

হেমন্ত শেষের রুখু পরিত্যক্ত বুনো প্রান্তরে
জানিনা আর কোন পদচিহ্ন পড়বে কিনা
হলেও বা আলাদা করে যাবে না চেনা

এই গথবাধা চেনাগোনার বাইরে
কিছু গল্প অল্প বোনা হয় জানিস?
অসম্পূর্ণ অসম্ভবের কিছু গল্প
তাদের আলাদা রং আলাদা গন্ধ
আলাদা সুরও বলতে পারিস্

বোনার আগেই রেশমী সূতোয়
টান পড়ে যায় প্রতিবার
নকশাও ফোটানো হয় না আর
তবু যতটুকুই হলো মিথ্যা
নয় একেবারে জলো
মরূভূমিতেও ত গাছ জন্মায় বল?
কাটাগাছই, তাই সই।

প্রাণের সৃষ্টিই ত
প্রতীক ভালোবাসার

যেমন তোরটা।

তুই কোনদিন জানতেও পারবি না
জানলে তোর বুদ্ধির তুলির এক তীব্র টানে
বদলে যাবে আমার একান্ত রং এর
হেমন্তের মোড়টা।

তার চে এই ভাল।
জরার জীর্ণ ঝরাপাতা রা
ঝলসে যাক
কোন এক বিশাখা নক্ষত্রে
নকশারা শুয়ে থাকুক শীতঘুমে
তোদের সাথে
আবার দেখা
আমার দেখা
হবে অন্য কোন সঠিক মরশুমে।।

Saturday, 22 February 2020

মা

মা

মা মানে ষষ্ঠীতে দূর্বা আটি
সবুজ হলুদ জামা
শিউলী ফুলে সপ্তমীতে
কপালে আদর নামা
মা মানে শীতের ভোরে
নোয়ার প্রথম পাঠ
হাত ধরে পার হওয়া
হিমাদ্রীদের মাঠ
মা মানে বাসাবাড়ি
পাকা বাশের ঘাট
ঠাকুরঘর রং করে
ক্ষয়ে যাওয়া হাত

মা মানে জন্মদিনে
পায়েস লুচি খুশীর ঘনঘটা
পরীক্ষায় দোরে ঘট
কপালে দইয়ের ফোটা

মা মানেই পড়াশুনা
না হলেই মুখ ভারী
অঙ্ক জ্যামিতি মানচিত্র
অত কি আর পারি?

মা মানে ঝড়ের রাতে
আগলে রাখা বুকে
নবমী দশমী পয়লা বৈশাখ
ঘুরছি মোরা সুখে

মায়ের হাতে আলতা পরা
সপ্তমীর সকাল
একসময়ের চেনা গল্প
আজকে বড় আকাল

মা মানে পুলি পিঠে
পাতানো দইয়ের বাটি
মনসা চাট আর মশলা পান
পৌষমেলায় কেনাকাটি

মা মানে বিরামহীন
অক্লান্ত পরিশ্রম
পুজোর সময় পাচটা জামা
তা ও যেন কম

মা মানে মাখানো ভাত
স্কুলে যাবার বেলা
হাতে গড়া মাটির পুতুল হাড়ি
উনুন খুন্তি সরা

স্কুলের শেষে ছুট্টে এসে
উকি মেরে দেখা
রান্নাঘরে বাইয়া চেলার
ছেচকী ঢেকে রাখা

মা মানে মিহি কাটা
লঙ্কা কাচা আম
বোকার মত খেটে যাওয়া
পায়ে মাথার ঘাম

মা মানে মানিয়ে নেওয়া
অভিশপ্ত সন্তান
উল্কার মাথায় রেখে যাওয়া
আশীর্বাদী ধান

মা মানে জীর্ণ দেহ
ক্ষয়ীষ্ণু ক্ষীণ প্রাণ
ঝড় ঝঞ্ঝা আঘাত সয়ে
আজকে ম্রিয়মাণ

মা তবুও অফুরান
ফুরিয়ে যাবার পরে
বিধাতার যা অসাধ্য
তা ও বন্দী মায়ের করে।।

                                              মহুয়া

Friday, 7 February 2020

ভ্যালেন্টাইন মাস

ইংরেজি বলার দম্ভে
বাংলা গিয়েছি ভুলে

মাতৃভাষাপ্রেম আজ
ধর্মান্ধতার কবলে

শিকড়ের চারপাশে 
পাশ্চাত্য নাগপাশ

আধুনিকতার আজ 
সমার্থক সর্বনাশ 

নির্লজ্জ বসন্ত নিজেকে 
সাজায় ফুলে ফুলে

নির্লজ্জ ভারত-বাঙালি 
ইতিহাস শিকেয় তুলে

বলছে ভ্যালেন্টাইনের মাস

রক্তিম পলাশ লুকোয়  বাহান্ন পুলওয়ামা লাশ!